কলকাতা: ২০০ আসনের লক্ষ্য নিয়ে বাংলা জয়ের যুদ্ধে নেমেছিল ভারতীয় জনতা পার্টি শিবির। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে ৭৭ আসনে থেমে যেতে হয়েছে তাদের। তারপর থেকে এই ফলের কারণ নিয়ে একাধিকবার পর্যালোচনা করা হলেও এখনো পর্যন্ত চূড়ান্ত ভাবে উপসংহার টানতে পারেনি পদ্ম বাহিনী। তাই ফের একবার বৈঠক করে বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে কাটাছেঁড়া করতে চাইছে তারা। এই বৈঠকের অন্যতম উদ্যোগী খোদ বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। আগামী ২৯ জুন এই বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
ঠিক কী কারণে বাংলায় বিজেপি মাটি শক্ত করতে পারলো না, কেন এত বড় হার হল, জেলা থেকে বুথ স্তরের রিপোর্ট কী রয়েছে এবং বাংলায় নির্বাচনী প্রেক্ষাপটে বিজেপি কী কী ভুল করে ফেলেছে, সব নিয়ে বৈঠক করতে চলেছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। লোকসভা নির্বাচনের যে সমস্ত জেলায় ভালো ফল করেছিল পদ্ম বাহিনী, এবারের বিধানসভা নির্বাচনে অধিকাংশ জেলায় সেই জল ধরে রাখতে পারেনি তারা। সেই প্রেক্ষিতে হারের কারণ খুঁজতে আবারও বৈঠক করতে চলেছে বিজেপি। নির্বাচনের আগে বিজেপি নেতৃত্বের দাবি ছিল যে ভোটের হাওয়া তাদের দিকে। কিন্তু ভোটের ফলাফল স্পষ্ট বলে দিয়েছে যে, প্রথম থেকেই মানুষের সমর্থন তাদের সঙ্গে এতটা পরিমাণ ছিল না যতটা তারা ভাবছিল। ফল প্রকাশের পর একাধিক বৈঠক হলেও হারের কারণ নিয়ে চূড়ান্তভাবে পর্যালোচনা হয়নি। তাই এবার বৈঠক করে সেই ব্যাপারে জোর দিতে চলেছে গেরুয়া শিবির।
আরও পড়ুন- আমানতকারীদের টাকা ফেরাতে এক সদস্যের কমিটি গঠন! ভাবনা হাইকোর্টের
এর আগে যে ক’টি বৈঠক করেছে বিজেপি নেতৃত্ব তাতে সাংগঠনিক রদবদল নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং আগামী দিনে বিজেপি বাংলায় কোন পথে এগোবে সেই নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত চূড়ান্তভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। কারণ এখন ভোট পরবর্তী হিংসা সংক্রান্ত ইস্যুতে রাজ্য সরকারের সঙ্গে বিরোধ অব্যাহত রয়েছে তাদের। অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারীর দিল্লির বৈঠক নিয়েও কৌতুহল তুঙ্গে সর্বত্র। তার মধ্যে আবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের রাজ্যের বিরোধিতায় সরব হওয়া। সব মিলিয়ে এখন বেশ উত্তেজক পরিস্থিতি রাজ্য রাজনীতিতে। এদিকে আবার রাজ্য বিজেপির একাংশ বঙ্গভঙ্গের দাবি তুলছে। সেই নিয়ে একটা বিরাট অস্বস্তিতে রয়েছে দলীয় নেতৃত্ব। সেই বিষয় নিয়ে আগামী বৈঠকে আলোচনা হয় কিনা তাও দেখার।