কলকাতা: ভোট পরবর্তী হিংসা’র তদন্তে সিবিআই-এর হাতে তদন্ত ভার দেওয়ার পরেই তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি৷ কলকাতা হাই কোর্টের এই রায়কে সাধুবাদ জানিয়েছে বিজেপি৷ অন্যদিকে, এই রায়ে চাপে পড়েছে রাজ্য সরকার৷ এদিন শুধু রাজ্য বিজেপি’ই নয় ভোট পরবর্তী হিংসার রায় নিয়ে বিবৃতি দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় বিজেপি’র তরফেও৷
আরও পড়ুন- ত্রিপুরা, দিল্লি দখলের পথে ভোট পরবর্তী হিংসার রায়ে কতটা অস্বস্তিতে ঘাসফুল শিবির?
এদিন কেন্দ্রীয় বিজেপি’র তরফে সাংবাদিক বৈঠকে বলা হয়, যে সকল মানুষ অত্যাচারিত হয়েছে, যাঁদের পরিবারের সদস্যদের খুন করা হয়েছে তাঁদের সুবিচার পাওয়া উচিত৷ আর এই সুবিচার একমাত্র নিরপেক্ষ বিচারকই দিতে পারেন৷ মহিলাদের উপর অত্যাচার হয়েছে, খুন হয়েছে৷ যাবতীয় ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ পাঁচ জন বিচারপতি ঐকমত্যে পৌঁছে এই রায় দিয়েছে৷ বিজেপি’র বক্তব্য, ২ মে’র পর পশ্চিমবাংলায় যে আইন-শৃঙ্খলার পতন ঘটেছে এদিনের রায় তারই প্রমাণ৷
আরও পড়ুন- রাজ্য পুলিশকে নিয়ে গঠিত SIT-এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পারবে না সরকার, নির্দেশ হাইকোর্টের
এদিন বঙ্গ বিজেপি’র তরফেও সাংবাদিক বৈঠক করা হয়৷ শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ২ তারিখের পর গ্রামে গ্রামে তালিবানি কায়দায় অত্যাচার চলেছে৷ আগুন লাগানো হয়েছে৷ পুরুষ শূন্য করে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন গ্রাম৷ অত্যাচারের সীমা ৩৪ বছরের বামফ্রন্টের আক্রমণকেও ভুলিয়ে দিয়েছে৷ বহু প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় আসা শাসক দলের নথ-দাঁত বার করে কদর্য রূপ দেখতে পেল বাংলার মানুষ৷ ৫১ জন দলীয় কর্মী খুন হয়েছে৷ তবে আজ মহামান্য আদালত সিবিআই তদন্ত ও আদালতের তত্বাবধানে সিট গঠনের যে নির্দেশ দিয়েছে তাকে স্বাগত জানাচ্ছে বিজেপি৷
শমীক ভট্টাচার্য আরও বলেন, এটা বিজেপি’র কাছে কোনও রাজনৈতিক নয়৷ এটা বিচারব্যবস্থার জয়৷ বিচার ব্যবস্থার প্রতি মানুষের যে আস্থা ছিল, তা আরও সুদৃঢ় হল৷ এই রায় নিঃসন্দেহে একটি ঐতিহাসিক রায়৷ গণতন্ত্রের প্রতি, সংবিধানের প্রতি মানুষের আস্থা, মানুষের প্রতিবাদ, সমালোচনা করার অধিকারকেই সুরক্ষিত করল এই রায়৷