কলকাতা: ভবানীপুরে আজ ছিল প্রচারের শেষ দিন, আর আজকেই ব্যাপক উত্তাপ ছড়ায় এলাকায়। কারণ বিজেপির ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। লাথি মারা থেকে শুরু করে ধাক্কা মারা হয়েছে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষকে, এমনই অভিযোগ। আক্রমণের পর ক্ষুন্ধ দিলীপ ভবানীপুর উপ নির্বাচন স্থগিত হোক এমন দাবি করেছেন। সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি স্পষ্ট জানান, ভবানীপুরে নির্বাচন হওয়ার মতো পরিস্থিতি নেই। যদিও দলের বক্তব্য, ১৪৪ ধারা জারি করে ভোট হোক। মতবিরোধ প্রকাশ্যে।
আরও পড়ুন- ধান ক্ষেতে তরুণীকে ধর্ষণের পর মারধর, শ্রীঘরে অভিযুক্ত
আজ নির্বাচন কমিশনে গিয়েছিল বিজেপি প্রতিনিধি দল। ভবানীপুরের ঘটনা প্রসঙ্গে তারা নালিশ জানাতে যায়। ওই দলে ছিলেন বিজেপি নেতা স্বপন দাশগুপ্ত। তিনি বলেন, গোটা ভবানীপুর বিধানসভা অঞ্চলে ১৪৪ ধারা জারি হোক এমনটাই চান তারা। ১৪৪ ধারাতেই ভোট হোক সেখানে। যতক্ষণ নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ না হয় ততক্ষণ ওই ধারা জারি থাকুক, এমনই দাবি বিজেপির। পাশাপাশি তারা এও দাবি করেছে যে, ভবানীপুরের প্রতিটি বুথেই সিসিটিভ ক্যামেরা লাগাতে হবে এবং বুথের বাইরে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখতে হবে। যদিও দিলীপের বক্তব্য, যেখানে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছানো যাচ্ছে না, যেখানে প্রচার করা সম্ভব হচ্ছে না সেখানে কী ভাবে ভোট করা হবে। যারা বিজেপিকে ভোট দিতে চান তাদের ভয় দেখানো হচ্ছে এবং ক্রমাগত বিজেপির ওপরে হামলা করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কোনো ভাবেই ভবানীপুরে ভোট হওয়া সম্ভব নয়। তাই উপ নির্বাচন স্থগিত রাখার দাবি তুলেছেন তিনি।
আরও পড়ুন- ভবানীপুরে ভোট প্রচারে ধুন্ধুমার, দিলীপ ঘোষকে ধাক্কা, মাথা ফাটল বিজেপি কর্মীর
তিনি আরো দাবি করছেন, যেভাবে আজ ভবানীপুরে বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা করা হলেও তাতে বোঝা যাচ্ছে সেখানকার মানুষ প্রচন্ড ভয়ে ভয়ে রয়েছেন। এদিকে পুলিশকে আগে থেকে সতর্ক করা থাকলেও তারা কোন রকম পদক্ষেপ নেয় না বলেও অভিযোগ তুলেছেন দিলীপ। তিনি স্পষ্ট বলছেন, তৃণমূল হেরে যাওয়ার ভয়ে এইসব করছে, তাই এই ইস্যুতে নির্বাচন কমিশনকে জানাচ্ছে তারা। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী রাখার জন্য নির্বাচন কমিশনও পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছে।