কলকাতা: রবিবার বিজেপির এক কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধার হল হুগলিতে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মধ্যবয়স্ক বিজেপি কর্মী গণেশ রায়কে গোঘাট এলাকার খানাতীতে তাঁর গ্রামের কাছে একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। বিজেপি অভিযোগ করেছে যে তাঁকে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্যরা খুন করেছে। তবে এই অভিযোগ রাজ্যটির ক্ষমতাসীন দল অস্বীকার করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে ওই ব্যক্তি শনিবার সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পিছনে কী কারণ থাকতে পারে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করেছেন যে গণেশ রায়কে তৃণমূল খুন করেছে এবং বিজেপি কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য মধ্যরাতের দিকে তাঁর দেহটি গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। তিনি বলেন, “বিজেপি কর্মীদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার জন্য এটি একটি নতুন প্রবণতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে আমরা একটি শক্ত প্রতিরোধ শুরু করব। বিজেপির পক্ষে ক্রমবর্ধমান সমর্থন দেখে তৃণমূল ভয় পাচ্ছেন।” এদিকে তৃণমূল কংগ্রেস বলেছে যে তাদের দলের সদস্যরা ওই বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত ছিলেন না।
আরও পড়ুন: ঐতিহ্য হারিয়ে বেহাল ক্যানিং স্টেশন! করোনা বিধি মেনে কীভাবে যাত্রী পরিষেবা? উঠছে প্রশ্ন
হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এই বর্বরতা বন্ধ হওয়া দরকার। গণতন্ত্রের চ্যাম্পিয়নরা কোথায় এবং পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি কর্মীদের হত্যা শেষ না করে কেন তারা চুপ?” এই ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপি কর্মীরা কিছু সময়ের জন্য গোঘাট-আরামবাগ রোড অবরোধ করেছিলেন। পরে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে।
আরও পড়ুন: SBI কার্ডের বকেয়া টাকা মেটাতে নতুন বিকল্প আনল ব্যাংক
২৮ জুলাই, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার হলদিয়ায় বিজেপির বুথ সভাপতির মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। এই ঘটনার আগে, বিজেপি নেতা এবং হেমতাবাদ বিধায়ক দেবেন্দ্র নাথ রায়ের মরদেহ উত্তর দিনাজপুর জেলার তার বাড়ির কাছেও ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। তার পরিবারও অভিযোগ ছিল ওই হত্যাটির সঙ্গে তৃণমূল জড়িত। সেটি ঠান্ডা মাথায় খুন বলে অভিযোগ করা হয়েছিল। তখনও ক্ষমতাসীন দল অস্বীকার করে বলেছিল যে ময়নাতদন্তের রিপোর্টও বলেছে তিনি আত্মহত্যা করেন। বিজেপি মিথ্যে অভিযোগ তুলছে।