কলকাতা: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ব্রিগেড জনসভার দিন ভারতীয় জনতা পার্টি শিবিরের নাম লিখিয়েছেন একদা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ, তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যসভার সাংসদ তথা ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। মিঠুনের যোগদানের পর এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তিনি বিজেপির হয়ে ভোটে লড়বেন কিনা। ভারতীয় জনতা পার্টি শিবির প্রথম দুই দফার নির্বাচনের জন্য প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে, যেখানে মিঠুন চক্রবর্তীর নাম নেই। তাই অবশ্য ভাবে তাঁকে নিয়ে কৌতুহল আরো বাড়ছে। তবে মিঠুন চক্রবর্তীর ভোটের লড়াই করার বিষয় নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন বিজেপির বাংলার পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তাঁর কথায়, মিঠুন চক্রবর্তী রাজি থাকলে পদক্ষেপ করা হবে।
মিঠুনের যোগদানের ব্যাপারে কৈলাস বিজয়বর্গীয় স্পষ্ট জানিয়েছেন, ব্রিগেডে দলে যোগ দেওয়ার পর মিঠুন চক্রবর্তীকে একাধিকবার অনুরোধ জানানো হয়েছে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য। কিন্তু তিনি রাজি নন। পরবর্তী ক্ষেত্রে তিনি যদি রাজি হয়ে যান তাহলে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেবে ভারতীয় জনতা পার্টির শিবির বলে দাবি করেছেন কৈলাস। যদিও, বিজেপি শিবিরে যোগ দেওয়ার পর একাধিক সাক্ষাৎকারে মিঠুন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, তিনি নেতা হতে আসেননি, দল যা সিদ্ধান্ত নেবে তিনি সেই অনুযায়ী কাজ করবেন। তাই এখনও পর্যন্ত মিঠুন চক্রবর্তী যে বিজেপির হয়ে ভোটে লড়বেন না এই ব্যাপারে সীলমোহর দেওয়া যায় না। হয়তো আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই ব্যাপারটা পরিস্কার হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে CBI নোটিস, ‘আমি সৎ’, দিলেন প্রতিক্রিয়া!
এদিকে টলিউডের একাধিক শিল্পীরা কেন রাজনীতিতে আসছেন সেই বিষয় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছেন বারাসতের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী তথা স্বনামধন্য অভিনেতা চিরঞ্জিত চক্রবর্তী। তিনি বলছেন, বাংলা ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা এখন তেমন একটা ভালো নয়। সেই কারণে কেউ কেউ রাজনৈতিক দলে যোগ দিচ্ছে একটা অন্য জীবিকা অবলম্বনের জন্য। এক্ষেত্রে যারা বিজেপিতে যোগ দিচ্ছে তাদের হয়তো হিন্দি সিনেমা জগতে পদার্পণ করার ইচ্ছা রয়েছে। সেই কারণে তাদের বিজেপি যোগের ঝোঁক বেশি, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ফলে তারা একটা পথ পাবে হিন্দি ইন্ডাস্ট্রিতে যোগ দেওয়ার। অন্যদিকে যারা তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ দিচ্ছে তারাও একটা পলিটিকাল ক্যারিয়ার চায় নিজেদের জন্য।