কলকাতা: বিজেপি’র সর্বভারতীয় সভাপতি জগত প্রকাশ নাড্ডার কনভয়ে হামলা নিয়ে চরমে রাজনৈতিক তরজা৷ অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে উত্তপ্ত বঙ্গ রাজনীতি৷ শুক্রবার হেস্টিংয়ে বিজেপি’র দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য৷ তিনি বলেন, গতকাল পুলিশের উপস্থিতিতে পুলিশের সহযোগিতায় তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক সহ বিভিন্ন এলাকার তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ও স্থানীয় নেতারা যে ভাবে আক্রমণ চালিয়েছে তার নিন্দা জানাচ্ছি৷
আরও পড়ুন- আইন ভেঙেছেন নাড্ডা, কোন আইনে মুখ্যসচিব-ডিজিপিকে তলব? প্রশ্ন কল্যাণের
তাঁর কথায়, বৃহস্পতিবার পরিকল্পতভাবে মোড়ে মোড়ে জমায়েত করা হয়েছিল৷ মেহবুব জাহাঙ্গির, গিয়াসুদ্দিন মোল্লারা পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালিয়েছে৷ পুলিশের কাছে আগে থেকেই খবর ছিল৷ দলের তরফে এসপি-কে জানানো হয়েছিল৷ মুখ্যসচিব এবং ডিজিপি’ও বিষয়টি জানতেন৷ সকাল থেকে বিভিন্ন ভাবে পুলিশকে জমায়েত হওয়ার কথা জানানো হয়েছিল৷ যে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে বলেও সতর্ক করা হয়৷ এর পরেও পুলিশের ভূমিকা ছিল নিষ্ক্রীয়৷ পরিকল্পিতভাবে জেপি নাড্ডার গাড়িতে আক্রমণ চালানো হয়েছে৷ কৈলাস বিজয়বর্গীয়, রাহুল সিনহা, মুকুল রায় সহ বহু কর্মী আহত হয়েছেন৷ মহিলা কর্মীরাও আক্রান্ত হয়েছেন৷
শমীক বলেন, যাঁরা বাংলা ও বাংলার সংস্কৃতির কথা বলছেন, তাঁরাই অশালীন ভাষায় স্লোগান দিচ্ছেন৷ এখানেই তারা থেমে থাকেনি৷ পরিকল্পিত ভাবে আক্রমণ চালানো হচ্ছে৷ জোকার ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ পেরনোর পর কি ইনার লাইন পারমিটের প্রয়োজন হবে? সেই পারমিট কি গিয়াসুদ্দিন মোল্লা ইস্যু করবেন? কে কোথায় যাবে আর যাবে না তাঁর পারমিট কি এঁনারা দেবে? প্রশ্ন তোলেন তিনি৷ তাঁর কথায়, সাম্প্রদায়িক ইস্যু তুলে বিজেপি’র বিরুদ্ধে উস্কানি দেওয়া হচ্ছে৷ বিভাজনের রাজনীতি চলছে৷ ঔদ্ধত্য এমন পর্যায়ে পৌঁছছে যে এত বড় মাপের একজন নেতার গাড়ির উপর হামলা চলছে৷
এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকাতেও নাখুশ বিজেপি নেতৃত্ব৷ শমীক বলেন, কোনও রকম তদন্ত ছাড়াই এক ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ টুইট করে জানিয়ে দন জেপি নাড্ডার কনভয় অক্ষত অবস্থায় বেরিয়ে গিয়েছে৷ টেইল কারে কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটেছে৷ পুলিশের সৎ সাহস থাকলে নাড্ডার বুলেট প্রুফ গাড়িটা জন সমক্ষে দেখানো হোক৷ সুর চড়ান শমীক৷
আরও পড়ুন- চায়ের দোকানের আড়ালে জঙ্গি কার্যকলাপ? জালে সন্দেহভাজন জামাত জঙ্গি
তিনি বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সারা দেশে গণতন্ত্র রক্ষার কথা বলছেন৷ বিজেপি’র অসহিষ্ণুতার কথা বলছেন৷ বিভাজনের কথা বলছেন৷ উত্তর প্রদেশের ঘটনায় পথে নামছেন৷ তাঁর এলাকায় এই ধরনের ঘটনা ঘটল কেন? প্রশ্ন তোলেন শমীর৷ তিনি বলেন, সৌকত মোল্লা, গিয়াসুদ্দিন মোল্লারা প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছে৷ বিভাজনের কথা বলছে৷ এই অবস্থা চলতে পারে না৷ পুলিশের সহযোগিতায় এটা মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়েছে৷
বহিরাগত ইস্যুতে রোহিঙ্গা প্রসঙ্গ টেনে তৃণমূলকে বিঁধলেন তিনি৷ শমীক বলেন, যারা রোহিঙ্গাদের বাংলায় এনে তাদের জন্য বস্তি গড়ে দেয়৷ কাজের ব্যবস্থা করে, তাঁদের মুখে বহিরাগতের তথ্য খাটে না৷ অন্যদিকে, দিল্লিতে বঙ্গ ভবনে হামলার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা বিজেপি’র মত নয়৷ পথ নয়৷ সংস্কৃতিও নয়৷ এটা কারা করেছে সেটা পুলিশ দেখবে৷ আমরা এটা সমর্থন করিনা৷ এই কাজ কোনও উদ্ধত গিয়াসুদ্দিন মোল্লা করে থাকতে পারে৷