কলকাতা: আজ কালীঘাটে নিজের বাড়ি থেকে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের জন্য ইস্তেহার প্রকাশ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ইস্তেহারে বার্ধক্য ভাতা বৃদ্ধি থেকে শুরু করে বার্ষিক কর্মসংস্থানের উল্লেখ রয়েছে। এছাড়াও কৃষকদের বার্ষিক অর্থ প্রদান এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে একাধিক ঘোষণা করা হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের এই ইস্তেহার প্রসঙ্গে বিজেপির মত, ঘোষণাপত্র বাস্তবায়িত করতে গেলে কেন্দ্রীয় সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন রাজ্য সরকারের। অর্থাৎ বাংলায় চাই ডবল ইঞ্জিন সরকার।
এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, আজ তৃণমূল কংগ্রেস ইস্তেহার ঘোষণা করে এটা প্রমাণ করে দিয়েছে যে কেন রাজ্যের ডবল ইঞ্জিন সরকারের প্রয়োজন রয়েছে। তিনি বলেন, যে সমস্ত প্রকল্প ঘোষণা হয়েছে পুরোটাই কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প। কেন্দ্রীয় সরকার যদি সাহায্য না করে তাহলে হবে না। তাজপুর বন্দর থেকে শুরু করে ডানকুনি থেকে পণ্যবাহী করিডোর, সবেতে কেন্দ্র-রাজ্য মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন। এছাড়াও বার্ধক্য ভাতা থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, যার নাম বদল করে হয়েছে বাংলা আবাস যোজনা, সবকিছুতে কেন্দ্রীয় সরকারের সহযোগিতা দরকার। তাই তৃণমূল কংগ্রেস যে ইস্তেহার প্রকাশ করেছে তা বাস্তবায়নের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের সহযোগিতা লাগবে। এর পাশাপাশি অভিযোগের সুরে শমীক ভট্টাচার্য আরো বলেন, ভবিষ্যতে এই রাজ্যের শিল্প কিভাবে আসবে এবং জমির ব্যাপারে কিভাবে সিদ্ধান্ত হবে, তার কোন দিশা আজকের ঘটনায় সাধারণ মানুষ পায়নি।
আরও পড়ুন- ‘দাওয়াই ভি অউর কড়াই ভি’, বাড়ন্ত করোনা নিয়ে বার্তা প্রধানমন্ত্রীর
একইসঙ্গে তিনি বলেন, গত ১০ বছরে এই সরকার রাজ্যে কোন রকম শিল্প আনতে পারেনি। বরং পুঁজিপতিরা এই রাজ্য থেকে নিজেদের পুঁজি সরিয়ে নিয়ে অন্য রাজ্যে চলে গেছেন। এই ভিত্তিতেই তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, শুধুমাত্র বিরোধিতা করার জন্য বিরোধিতা করে, আজ বাংলাকে ঋণের জালে ফাঁসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাই শমীক ভট্টাচার্য একেবারে স্পষ্ট করে এদিন বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস যে ইস্তেহার প্রকাশ করেছে সেই ইস্তেহার বাস্তবায়িত করতে গেলেও কেন্দ্রের সহযোগিতা লাগবে, তৃণমূল কংগ্রেস নিজে এটা বাস্তবায়িত করতে পারবে না।