কলকাতা: শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলায় বিজেপির ‘পরিবহন যাত্রা’ সমাবেশে হামলা করেছে বলে দাবি করে রাজ্য বিজেপির তরফে নির্বাচন কমিশন এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে অভিযোগ জানান হয়েছে।
বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন, তৃণমূলের প্রতি আনুগত্যের কারণে দুর্বৃত্তরা শনিবার উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাটের মিনাখাতে ‘পরিবর্তন যাত্রা’ আক্রমণ করেছিল এবং বোমা ও ইটপাটকেল নিয়ে। দু’জন যখম হয়েছে।
“পূর্বেই স্থানীয় প্রশাসনকে যাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের সুরক্ষার ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে অনুরোধ করা হয়েছিল,” বলেন প্রতাপ ব্যানার্জি। কিন্তু, পক্ষপাতদুষ্ট প্রশাসন তৃণমূলের দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া এবং শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু সমাবেশ পরিচালনা করতে সৎ ও নিরপেক্ষ কর্মীদের মোতায়েন করতে ব্যর্থ হয়, আরও বলেন তিনি। রাজ্যতে বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি ” পরিবহন যাত্রা ” সমাবেশ শুরু করেছে। যা শোনা যাচ্ছে, নির্বাচন এপ্রিল-মে মাসে অনুষ্ঠিত হবে।
২০১৯ সালে শেষ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ১৮টি আসন জিতেছিল। ৪০.৬৪ শতাংশ ভোট তারা নিশ্চিত করেছে। যা ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের থেকে ২২.৭৬ শতাংশ বেশি। এই ব্যাপক ভোট বৃদ্ধি ইঙ্গিত করে কোনও কারণে বিপুল সংখ্যক মানুষ বিজেপির দিকে ঝুঁকেছে। তা যে ধর্মীয় মেরুকরণ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। লোকসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে যদি বিধানসভায় বিজেপি, তৃণমূল, কংগ্রেস এবং বামদলগুলি ফলাফল বিচার করতে হয় তবে দেখা যাবে বিজেপি প্রায় ১২২টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। ৪৩.৬৯ শতাংশ ভোট নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ২২টি আসনে জিতেছিল। লোকসভার ফলাফল বিচার করলে ১৬৩টি আসলে তৃণমূলের এগিয়ে থাকার কথা। আপাতদৃষ্টিতে লোকসভার নিরিখে বিচার করলে বোঝা যায় তৃণমূল অন্তত ৪১টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। পুলিশ জানিয়ে, মিনখানায় পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে একটি গাড়িবহরে হামলা করা হয়েছিল, যা শনিবার দুটি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে লড়াই শুরু করেছিল।