কলকাতা: বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফার এই বিস্ফোরক ঘটনা ঘটে গিয়েছে। হয়তো এবারের নির্বাচনের অন্যতম বড় ঘটনার মধ্যে একটি। বিজেপি নেতাকে ফোন করে সাহায্য চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এমন দাবি করা হয়েছে গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে। সেই ভাইরাল হওয়া অডিও ক্লিপ সাংবাদিকদের সামনে শোনায় বিজেপি শিবির। সেটি শুনিয়ে দাবি করা হয়, এই মুখ্যমন্ত্রীর বিদায় নেওয়া উচিত।
অডিও ক্লিপে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কণ্ঠস্বর শোনা যাচ্ছে কিনা সে ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কিন্তু যে কণ্ঠস্বর শোনা গিয়েছে তা মুখ্যমন্ত্রীর বলে দাবি করেছে বিজেপি। গেরুয়া নেতার সঙ্গে তাঁর কথোপকথন থেকে উঠে এসেছে বেশ কিছু তথ্য যা হাতিয়ার করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। কথোপকথনে মহিলা কণ্ঠস্বর বলছে যে তিনি মেদিনীপুরে ঢুকতে পারতেন না এবং নন্দীগ্রামে যেতে পারতেন না কারণ সেখানে অন্যদের জমিদারি চলত! এই বিষয়টিকে হাতিয়ার করে বিজেপির বক্তব্য, একজন মুখ্যমন্ত্রী যদি নিজের রাজ্যে নির্দিষ্ট জায়গায় ঢুকতে না পারেন তাহলে সেই রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই সেটা স্বাভাবিক। মুখ্যমন্ত্রী নিজের রাজ্যে সাধারণভাবে ঘোরাঘুরি করতে পারছেন না এর থেকে খারাপ কী হতে পারে। এদিকে বিজেপি নেতার কাছ থেকে সাহায্যের ভিক্ষা চাইছেন তিনি তাই এই মুখ্যমন্ত্রীর বিদায় নেওয়া উচিত।
আরও পড়ুন- TMC-কে ভোট দিলেই ছোলা মুড়ি! বিজেপির অভিযোগে তুঙ্গে তরজা
এদিকে এই অডিও ক্লিপ প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, “অডিওর সত্যতা যাচাই হয়নি তাই টেকনিক্যালি মন্তব্য করা উচিত নয়। যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোন করে থাকেন সত্যি, তাহলে বেশ করেছেন। যাকে বিজেপি কর্মী বলা হচ্ছে তিনি কিন্তু প্রাক্টিক্যালি তৃণমূল কংগ্রেস থেকে যাওয়া বিজেপি কর্মী। নন্দীগ্রামের প্রার্থীর মুখ্যমন্ত্রী নিশ্চয়ই প্রলয় পালের নম্বর নিয়ে বসেছিলেন না।” কুণালের দাবি, কেউ হয়তো তাঁকে ফোন করে বলেছেন যে তিনি কোনো মান-অভিমান করে দল ছেড়েছেন, তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাকে ফোন করে তার অভিমান ভোলাতে চেষ্টা করছেন। এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মহানুভবতা বলে আখ্যা দিচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র।