‘কোনও একজন ব্যক্তি দলকে কুক্ষিগত করতে চাইছেন’, বৈঠক শেষে বিস্ফোরক শান্তনু

‘কোনও একজন ব্যক্তি দলকে কুক্ষিগত করতে চাইছেন’, বৈঠক শেষে বিস্ফোরক শান্তনু

কলকাতা:  বেশ কিছুদিন ধরেই দলের অন্দরে বিদ্রোহী বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর৷ শনিবার দলের বিক্ষুব্ধদের নিয়ে কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের গেস্ট হাউসে বৈঠকে বসেছিলেন কেন্দ্রীয় বন্দর, জাহাজ ও জলপথ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী৷ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু থেকে সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদারের মতো নেতারা। প্রসঙ্গত তাঁরা সকলেই বিজেপি-র সদ্য ঘোষিত রাজ্য কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন।  এদিন বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বনগাঁর বিজেপি সাংসদ বলেন, ‘‘আমাদের উদ্দেশ্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপি’র হাতকে মজবুত করা৷ কিন্তু, বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি’র যে কমিটি তৈরি হয়েছে, সেই কমিটির কোনও সৎ উদ্দশ্য রয়েছে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে৷ উপরতলার নেতাদের ভুল বার্তা দিয়ে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে৷ ’’

আরও পড়ুন- ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ল রাজ্যের কোভিড বিধি, বিয়ে-মেলায় কিছুটা ছাড়

শান্তনু ঠাকুর আরও বলেন, নতুন কমিটিতে দলের ক্ষতি হয়েছে৷ কমিটি দেখে মনে হচ্ছে, এটা ভারতীয় জনতা পার্টির ভবিষ্যতের পক্ষে এ এক অশনি সংকেত৷ আর সেটা উপলবদ্ধি করেই আমরা সকলে একত্রিতভাবে বসে এর মোকাবিলা করতে চাই৷ তাঁর বিস্ফোরক দাবি, ‘‘কোনও একজন বিশেষ ব্যক্তি সংগঠনকে কুক্ষিগত করতে সমস্ত বলিষ্ঠ ও অভিজ্ঞ নেতাদের বাদ দিয়ে কমিটি তৈরি করেছেন।’’ তাঁর বক্তব্য, এর থেকে স্পষ্ট এঁদের অন্য কোনও দলের সঙ্গে যোগসাজশ রয়েছে৷ নাহলে দলের ৯০ শতাংশ মানুষকে বাদ দিয়ে কী ভাবে কমিটি তৈরি হল? এটা কি ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষে ক্ষতিকারক নয়? প্রশ্ন তোলেন বিজেপি সাংসদ৷ তাঁর কথায়, আগামী দিনে যাতে বিজেপি’র ক্ষতি না হয়, তা নিশ্চিত করতেই আমরা একত্রিত হয়েছি৷ 

তিনি আরও বলেন, বিজেপি’র কোনও কমিটিতে মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষকে নেওয়া হয়নি৷ শুধু তাই নয়, তফশিলি জাতি-উপজাতি বা ওবিসি সম্প্রদায়ের কোনও প্রতিনিধিকেই কমিটিতে রাখা হয়নি৷ যাঁরা ভারতীয় জনতা পার্টিকে ২ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশে নিয়ে গেল, তাঁদের বাদ দেওয়ার কারণটা  কী?

সুর চড়িয়ে শান্তনু বলেন, ‘‘দলের একজন নেতার জন্য গোটা বিজেপি ধ্বংস হয়ে যাবে সেটা হতে দেব না৷ নিজের হাতে গোটা কমিটিকে রাখার জন্য তিনি অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের সরিয়েছেন৷’’ ওই নেতার অপসারণ চেয়ে ইতিমধ্যে দলীয় নেতৃত্বের কাছে আর্জি জানানো হয়েছে বলেও জানান শান্তনু ঠাকুর৷ তিনি বলেন, উপর তলার নেতাদের পক্ষে সম্ভব নয় তৃণমূল স্তর থেকে খোঁজ নেওয়া৷ তাঁদের ভুল বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে৷ তবে সেই ব্যক্তি কে, তা স্পষ্ট করেননি বনগাঁর সাংসদ৷ 

প্রসঙ্গত, রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার কমিটি ঘোষণার পর থেকেই দলের অন্দরে কোন্দল শুরু হয়েছে৷ বিজেপি-র মতো ‘শৃঙ্খলাবদ্ধ’ দলে এই কোন্দল বেনজির বলেই মনে করছেন গেরুয়া শিবিরের একাংশ।   

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *