‘বিচার ব্যবস্থায় ভরসা নেই, রায় দিতে হাত কাঁপে!’ ফের বেফাঁস দিলীপ

‘বিচার ব্যবস্থায় ভরসা নেই, রায় দিতে হাত কাঁপে!’ ফের বেফাঁস দিলীপ

 

কলকাতা: হেমতাবাদে বিধায়ক মৃত্যুর প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে ফের বেফাঁস মন্তব্য করে বসলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ খোদ বিচারব্যবস্থার উপর তুলেলেন আঙুল৷ বিধায়ক মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশি সক্রিয়তা নিয়েও মন্তব্য করেছেন দিলীপ ঘোষ৷

বিজেপিতে নাম লেখানো বাম বিধায়কের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ-প্রশাসন ও রাজ্যের বিচার ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন দিলীপ ঘোষ৷ এখানকার আদালতের উপর ভরসা নেই মানুষের৷ দিনের পর দিন আদালতে শুনানি হচ্ছে না৷ রায় লিখতে গেলে বিচারকদের হাত কেঁপে যায়৷ গোটা বিচার ব্যবস্থা এখন রাজনীতি দ্বারা প্রভাবিত৷ এমনই মন্তব্য করেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷
হেমতাবাদে বিজেপি বিধায়কের মৃত্যুর তদন্ত প্রসঙ্গে জ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের মন্তব্য, ‘‘এখানে আদালতের উপর ভরসা নেই মানুষের৷ কেননা, দিনের-পর-দিন কেসের শুনানি হয় না৷ উঠেও না৷ রায় দিতে গেলে বিচারকদের হাত কেঁপে যায়৷ সেই জন্য এখানে কোন ভরসা নেই৷ সমস্ত ব্যবস্থাটাই আজকে প্রভাবিত হয়ে গেছে রাজনীতি দ্বারা৷ সুপ্রিম কোর্টে আমরা যেতেও পারি৷ সেটা আমরা বিবেচনা করে দেখব৷’’

বিধায়কের রহস্য মৃত্যু ঘিরে রাজ্যের বিরুদ্ধে সরব হন দিলীপ ঘোষ৷ আগামীদিনে রাজ্যের প্রতিটি থানায় বিক্ষোভ হবে বলেও ঘোষণা করেছেন তিনি৷ রাজনৈতিক হিংসার প্রতিবাদে এই কর্মসূচি বলে জানিয়েছেন তিনি৷ এই বিষয়ে রাষ্ট্রপতি ও রাজ্যপালকে জানানো হয়েছে৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে ওই বিষয়ে দরবার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন দিলীপ৷ এই সরকার যাতে আর না চলতে, তার আবেদন যথাযথ স্থানে করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন দিলীপ ঘোষ৷

বিধায়ক মৃত্যুতে সিবিআই তদন্ত বিষয়ে দিলীপ ঘোষের মন্তব্য, ‘‘আমরা চেয়েছি সিবিআই তদন্ত৷ সাধারণ মানুষের সন্দেহ দূর করার জন্য সিবিআই তদন্ত করলে আপত্তি কোথায়? কিন্তু সেটা করছে না৷ এটা প্রথমবার নয়, এর আগেও আমাদের কার্যকর ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ তাতে একই ঘটনা ঘটেছে৷’’

পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন দিলীপ ঘোষ৷ সাংবাদিক বৈঠক করে দিলীপ ঘোষের মন্তব্য, ‘‘একটা মৃতদেহ ঝুলছে৷ আত্মহত্যা করেছে, তাঁর শরীরে কোনও প্রতিক্রিয়া নেই? বুকপকেটে মোবাইল রয়েছে৷ কলম রয়েছে৷ চশমা আছে৷ সবই ঠিক আছে৷ আশ্চর্য ব্যাপার, দেখে বোঝা যাচ্ছে, অন্য কোথাও হত্যা করা হয়েছে৷ এখানে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ হাত পর্যন্ত বেঁধে দেওয়া হয়েছে৷ ওখানকার লোক যেন একই কথা বলছে৷ পুলিশের ভেতরে খবর, পুলিশ এটা করেছে৷ তাঁর বুকের মধ্যে সুইসাইড-নোট ঢুকিয়ে দিয়েছে৷ তদন্ত হলে সব বেরিয়ে আসবে৷ তাই এটা চাপানোর চেষ্টা করছে৷ এটা একেবারে আগে থেকে পটভূমিকা রচনা করে করা হয়েছে৷’’

দিলীপের মন্তব্য, ‘‘আপনারা কল্পনা করুন, একটা মায়নাতদন্ত রিপোর্ট পেতে কতদিন ছুটতে হয়, রাতে ময়নাতদন্ত, সকালবেলা রিপোর্ট৷ সংবাদমাধ্যমের কাছে চলে আসল৷ এটা আমরা কখনও দেখিনি৷ সরকারের মনের মধ্যে যে পাপ আছে, তার থেকেই এই সমস্ত কাজ হচ্ছে৷ সকাল ১০টায় মৌখিকভাবে পুলিশ বলছে আত্মহত্যার৷ হঠাৎ দুপুরে সুইসাইড নোট পাওয়া গেল৷ ময়নাতদন্ত রিপোর্ট চলে আসল সংবাদমাধ্যমে৷ আমাদের পশ্চিমবঙ্গ সরকার এতটা সক্রিয়? এতটা স্মার্ট হয়ে গেল? কল্পনাও করতে পারছি না৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twelve − 7 =