খড়দহ: খড়দহ গুলিকাণ্ডে মুখ খুললেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। শুক্রবার রাতে প্রকাশ্য রাস্তায় গুলি করে খুন করা হয় খড়দহের প্রয়াত বিধায়ক কাজল সিনহা ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিত তৃণমূলের হিন্দি সেলের সভাপতি রনজয় শ্রীবাস্তবকে( ৪২)৷ খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ও বিজেপি পরস্পরকে দুষছে৷ যার জেরে উত্তপ্ত খড়দহের রাজনৈতিক জমি৷
এরই মাঝে এবার মুখ খুললেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন৷ বললেন, ‘‘তৃণমূলের মধ্যে এখন ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে গণ্ডগোল শুরু হয়েছে। ওদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এখন চরম পর্যায়ে আছে। আর এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থেকেই রনজয় শ্রীবাস্তবকে খুন হতে হল৷’’ দাবি করেছেন, ‘‘বিজেপি এরকম হিংসার রাজনীতি করে না।” যদিও তৃণমূল নেতা তথা টিটাগর পুরসভার মুখ্য প্রশাসক প্রশান্ত চৌধুরীর দাবি, ‘‘বিজেপি এলাকার দখল নেওয়ার জন্য আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করতে দুষ্কৃতীদের দিয়ে এসব করেছে৷ পুলিশ সঠিকভাবে তদন্ত করলেই বিজেপি যোগের বিষয়টি স্পষ্ট হবে৷’’
এদিকে রনজয় শ্রীবাস্তবের খুনের ঘটনায় পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছিল৷ ধৃতদের শনিবার আদালতে তোলা হলে ব্যারাকপুর মহকুমা আদালতের বিচারক ধৃতদের দশদিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন৷ পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনায় আর কে বা কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রনজয় শ্রীবাস্তব তৃণমূল হিন্দি সেলের সভাপতি ছিলেন৷ শুক্রবার রাতে বারোটা নাগাদ খড়দহ টাটা গেটের সামনে একটি রক্তদান শিবির তদারকি করতে যান তিনি৷ সেই সময় বেশ কিছু দুষ্কৃতী ঘিরে ধরে তাঁর নীল রঙের অল্টো গাড়িটি। এরপর তাঁকে লক্ষ্য করে খুব কাছ থেকে চার রাউন্ড গুলি চালানো হয়৷ একটি গুলি রনজয়ের বুকে লাগে৷ মৃত্যু নিশ্চিত করতে যাওয়ার সময় দুষ্কৃতীরা বোমা ছোঁড়ে বলেও অভিযোগ৷ স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখান শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে৷ সেখান থেকে তাঁকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার সময় মারা যান রনজয়। ঘটনার জেরে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া৷ একই সঙ্গে উত্তেজনায় থমথম করছে এলাকার রাজনৈতিক পরিবেশ৷