কলকাতা: কোভিড 19 এবং উমপুন ঘূর্ণিঝড়ের পর রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের মুখোশ খুলে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা এখন আর কেউ শুনছে না বলে মনে করেন বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। অর্জুনের কথায়, করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত তথ্য গোপন করা হয়েছে। মানুষ বুঝে গিয়েছে। তার উপর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ'র জনসংবাদ যাত্রা বা ভার্চুয়াল সভার পর বাংলার মানুষ বুঝেছে তৃণমূল আর নয়। ভোটের সময় মোটর বাইক বাহিনীর দাপাদাপি চলবে না। আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করব, এই ব্যাপারে।
অর্জুনের এই মন্তব্য সেই সময়ে দাঁড়িয়ে, যখন কিছুদিন আগেই অমিত শাহ বাংলায় ভোটের 'সুইচ অন' করে দিয়ে গিয়েছেন। রাজ্যের মহাগুরুত্বপূর্ন বিধানসভা নির্বাচনের ঢাকে কাঠি পড়তে পারে ৮-৯ মাসের মধ্যেই। সেক্ষেত্রে, মনে করা হচ্ছে, গেরুয়া শিবিরের রাজনৈতিক ছক তৈরি। সদ্য দলগত বদল হয়েছে বিজেপিতে। রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন অর্জুন। বৃহস্পতিবার ১৫৩ জনকে দলে যোগদান করায় বিজেপি। খড়দহ দক্ষিণ পূর্ব মণ্ডলে দাঁড়িয়ে অর্জুন ঘোষণা করেন করোনা আবহে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে যোগদান পর্ব হয়েছে। বেশি লোক ডাকা হয়নি।
কোভিড-19 এবং উমপুনের ঝড়ে তৃণমূল কংগ্রেস কিছুটা রাজনৈতিক চাপে। এই পরিস্থিতিতে বাড়তি চাপ তৈরি করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যের জন্য ভার্চুয়াল সভা করেছেন অমিত শাহ। টাকার হিসাব চেয়েছেন। সিএএ বা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে মমতার বিরোধিতায় সরব হয়েছেন। বলেছেন, মতুয়া, নমোশুদ্র দের অধিকার কেন কেড়ে নিতে চায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? উত্তর ২৪ পরগনায় বিজেপির জয়রথ ছোটাতে অর্জুন সিং এর মত বাহুবলি নেতাদের প্রয়োজন হবে অমিত শাহ'র।