কলকাতা: তৃণমূল কংগ্রেস বা অন্যান্য রাজনৈতিক দল থেকে যে সব বিধায়করা বিজেপিতে যোগদান করছেন, তারা তাদের আসনেই লড়াই করতে চাইবেন, সেটাই স্বাভাবিক। সেক্ষেত্রে, খুব প্রয়োজন না পড়লে সেই আসনেই তাঁদেরকে ভোটে লড়াই করতে দেওয়া হবে। বিজেপি সূত্রে খবর, পার্টি এমনটাই সিদ্ধান্ত নিতে পারে। যে বিধায়করা নিজেই পুরানো দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, তারা তাদের নিজেদের জেতা আসন থেকেই লড়বেন।
বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের আগে দল বদল অব্যাহত। তৃণমূল থেকে বিজেপিতে গেলেন রাজীব ব্যানার্জি, বৈশালী ডালমিয়া, প্রবীর ঘোষাল। এরা তিন জনেই বিধায়ক বা বিধায়ক ছিলেন। রাজীব মন্ত্রীও ছিলেন। যা খবর, হাওড়া থেকে তৃণমূলের আরও কিছু নেতার বিজেপিতে যোগদানের সম্ভাবনা আছে। তবে, তৃনামুল থেকে আশা নেতাদের টিকিট পাওয়া নিয়ে বিজেপিতে যে অসন্তোষ তৈরি হয়, তা নতুন কিছু নয়। এবারেও সেই রকম সম্ভাবনা অনেকেই উড়িয়ে দিচ্ছেন না।
রাজীব ব্যানার্জি এবং বৈশালী ডালমিয়া হাওড়ায় রাজনীতি করেছেন। বহুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল রাজীব বিজেপিতে যোগদান করবেন। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে তার সম্পর্ক ঠিক ছিল না। কিন্তু, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তার সম্পর্ক বজায় ছিল। লোকসভা নির্বাচনেও প্রচুর খাটা খাটনি করেছেন রাজীব। তৃনমূলকে লিড দিয়েছেন। কিন্তু, দলের একটি অংশের সঙ্গে তার এবং তার অনুগামীদের মনোমালিন্য বাড়তে বাড়তে চরমে পৌঁছায়। সেক্ষেত্রে, মমতার প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই দল ছাড়েন মমতা।
মমতার হাত ধরেই রাজনীতিতে এসেছেন জগমোহন ডালমিয়ার কন্যা বৈশালী ডালমিয়া। কিন্তু, হাওড়ার কিছু স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে তার দূরত্ব বাড়তে থাকে। তাদের বিভিন্ন কাজকর্মে মনোমালিন্য বাড়তে থাকে। দলে থেকেই তিনি দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন। অবশেষে দিল্লিতে রাজীব ব্যানার্জির সঙ্গেই বিজেপিতে যোগ দেন।
তবে প্রবীর ঘোষালের বিজেপিতে যোগ দানের খবরে অনেকেই তাজ্জব বনে গিয়েছেন। একসময় পেশায় সাংবাদিক ছিলেন প্রবীর। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ট ছিলেন। প্রবীরবাবু নিজে মুখে বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে সময় যুব কগ্রেস করতেন সেই সময় থেকেই তার সঙ্গে ছিলেন। যাকে মমতা এত ভাল বসতেন, তাকে কেন দল ছাড়তে হল, তা অনুমান করা কঠিন। তবে প্রবীর নিজেই বলেন দলের ভিতর শুদ্ধিকরণের প্রশ্ন তিনি নিজেই তুলেছেন।