মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়ন দেখে তৃণমূলে ফিরেছি’, আগে দেখেননি? এখন কেন? হোঁচট খেলেন BJP-র কৃষ্ণ!

মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়ন দেখে তৃণমূলে ফিরেছি’, আগে দেখেননি? এখন কেন? হোঁচট খেলেন BJP-র কৃষ্ণ!

কলকতা: বিজেপি’র ভাঙন অব্যাহত৷ এবার গেরুয়া শিবির ছেড়ে ঘরওয়াপাসি করলেন রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী৷ তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাত ধরে পুরনো দলে ফেরেন কৃষ্ণ৷ তাঁকে উত্তরীয় পরিয়ে স্বাগত জানান পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ এদিকে পুরনো ঘরে ফিরেই বোমা ফাটান রায়গঞ্জের বিধায়ক৷ বিজেপি’কে তুলোধোনা করার পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নমূলক কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি৷ কিন্তু তাঁর কথার রেশ ধরেই সাংবাদিকের প্রশ্নে হোঁচট খেলেন কৃষ্ণ৷ সামলে দিলেন পার্থ৷ 

আরও পড়ুন- ভাঙন অব্যাহত! BJP ছেড়ে এবার তৃণমূলে রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী

এদিন সাংবাদিক বৈঠকে কৃষ্ণ বলেন, ‘‘বিজেপি’তে ভালো কাজের মূল্যায়ন নেই৷ ভালো কাজের পরিবেশ নেই৷ আছে শুধু ষড়যন্ত্র৷ আর ষড়যন্ত্রের অস্ত্র দিয়ে রাজনীতির যুদ্ধ জেতা যায় না৷ এর জন্য উন্নয়ন করতে হয়৷ মানুষকে পরিষেবা দিতে হয়৷ আর সেটা দিচ্ছেন মা-মাটি-মানুষের সরকার৷ রূপশ্রী, কন্যাশ্রী, লক্ষ্ণীর ভাণ্ডারের মতো প্রকল্পের মাধ্যমে মা-বোনেদের হাতে টাকা তুলে দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ স্বাস্থ্যসাথী, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড দিয়ে নড়বড়ে খুঁটি মেরামতি করছে৷’’ কৃষ্ণ আরও বলেন, ভোটের আগে দেওয়া সকল প্রতিশ্রুতি উনি অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছেন৷ মমতাকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়েই তৃণমূলে যোগ দিলাম৷’’ 

এর পরেই সাংবাদিকের প্রশ্ন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সবুজ সাথী, কন্যাশ্রীর মতো প্রকল্প দেখে আপনি অনুপ্রাণিত৷ কিন্তু এই প্রকল্প তো অনেক দিনের পুরনো৷ এই সকল প্রকল্পের কথা জানা সত্ত্বেও বিজেপি’র টিকিটে লড়েছিলেন কেন? জবাবে কৃষ্ণ কল্যাণী বলেন, আমি ছয় মাসের জন্য ভুল করেছি৷ বুঝতে পেরে ভুল শুধরে নেব নাকি সারা জীবন তা বয়ে বেরাব? ভুল করেছিলাম সেটা শুধরে নিয়েছি৷ এমতাবস্থায় পরিস্থিতি সামাল দিতে মাইক ধরেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ তিনি বলেন, উনি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় এই দলে থাকার কারণ জানিয়েছেন৷ পাশাপাশি নিজেই ভুল সংশোধনের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন৷ তাই এর পর নতুন করে প্রশ্ন করে বিতর্ক সৃষ্টি করা বা তাঁকে বিব্রত করা উচিত নয়৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

19 − 7 =

ভাঙন অব্যাহত! BJP ছেড়ে এবার তৃণমূলে রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী

ভাঙন অব্যাহত! BJP ছেড়ে এবার তৃণমূলে রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী

 

কলকাতা: জল্পনাই সত্যি হল৷ ফের বিজেপি’তে ভাঙন ধরিয়ে দল ছাড়লেন বেসুরো কৃষ্ণ কল্যাণী৷ পার্থ চট্টপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূল কংগ্রেসে প্রত্যাবর্তন করলেন রায়গঞ্জের বিধায়ক৷ উত্তরীয় পরিয়ে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান তৃণমূলের মহাসচিব৷ এর পর তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয় তৃণমূলের পতাকা৷ এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, বিজেপি’র টিকিটে জয়ী হলেও কৃষ্ণ কল্যাণী মনে প্রাণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে বিশ্বাসী৷  পুরনো দলে ফিরে বিজেপি’র বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন তিনিও৷ 

আরও পড়ুন- আলাপন মামলায় অস্বস্তিতে ‘ক্যাট’! চাওয়া হল কেন্দ্রের হলফনামা

বুধবার দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হোটেলে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাত ধরে ঘর ওয়াপাসি করেন কৃষ্ণ কল্যাণী। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের হিন্দিভাষী সেলের সভাপতি তথা জোড়াসাঁকোর বিধায়ক বিবেক গুপ্ত। দল বিরোধী কাজের অভিযোগে ১ অক্টোবর কৃষ্ণকে শোকজ করেছিল বিজেপি। শোকজের কথা জানার পরেই দলত্যাগের কথা ঘোষণা করে দেন রায়গঞ্জের বিধায়ক। তখন থেকেই জল্পনা ছিল পুরনো দলেই ফিরবেন তিনি৷ সেই জল্পনাই সত্যি হল৷ কৃষ্ণকে নিয়ে মোট পাঁচজন বিজেপি বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিলেন।

বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি’তে গিয়েছিলেন কৃষ্ণ কল্যাণী৷ বিজেপি’র টিকিটে তিনি জয়ীও হন৷ কিন্তু ফল ঘোষণার কিছু পর থেকেই রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর সঙ্গে তাঁর দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসে৷ দেবশ্রী তাঁকে হারানোর চক্রান্ত করেছিলেন বলেও তিনি অভিযোগ তোলেন৷ এদিন তৃণমূলে যোগ দিয়ে কৃষ্ণ কুমারী বলেন, বিজেপি’তে ভালো কাজের মূল্যায়ন নেই৷ ভালো কাজের পরিবেশ নেই৷ আছে শুধু ষড়যন্ত্র৷ আর ষড়যন্ত্রের অস্ত্র দিয়ে রাজনীতির যুদ্ধ জেতা যায় না৷ এর জন্য উন্নয়ন করতে হয়৷ মানুষকে পরিষেবা দিতে হয়৷ আর সেটা দিচ্ছেন মা-মাটি-মানুষের সরকার৷ 

তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রীয় নীতিতে কেউ সামান্য সঞ্চয়টকুও করতে পারেনি৷ খুঁটি নড়বড়ে হয়েছে৷ অন্যদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কন্যাশ্রী, রূপশ্রীর মতো প্রকল্প বাড়ির সেই নড়বড়ে খুঁটিকে শক্ত করেছে৷ ভোটের আগে দেওয়া সকল প্রতিশ্রুতি পালন করেছেন উনি৷ তাঁকে দেখে উৎসাহিত হয়েই তৃণমূলে যোগদান করেছি৷  এদিন আরও একবার দেবশ্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন কৃষ্ণ কল্যাণী৷  তিনি বলেন, ভালো কাজ করেও আমাকে শোকজ করা হয়েছে৷ অথচ তিন বছর লোকসভা এলাকায় দেখা যায়নি দেবশ্রী চৌধুরীকে৷ ওঁকে পুরস্কৃত করেছে বিজেপি৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 × five =