বাঁকুড়া: রাজমিস্ত্রী স্বামীর সাথে জোগাড়ের কাজ করতেন চন্দনা। স্বচ্ছ ভারত কর্মসূচীতে যোগদানের জন্য প্রথম বিজেপি পার্টি অফিসে যান। পরবর্তীতে দলের হয়ে কাজও করেন। আর তাতেই মিলে যায় একেবারে বিধানসভার টিকিট। বাঁকুড়া জেলার শালতোড়া বিধানসভা থেকে এবারে জয়ী হয়েছেন বিজেপির চন্দনা বাউড়ি। পশ্চিমবঙ্গের দরিদ্র বিধায়কদের মধ্যে অন্যতম তিনি। নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া প্রার্থী হওয়ার সময় হলফনামায় তিনি জানিয়েছিলেন নগদ ৩২ হাজার টাকা ছাড়া সেভাবে কিছুই নেই। বিজেপির এই বিধায়কের এখন চিন্তা বিধায়ক ভাতার এত টাকা তিনি কীভাবে খরচ করবেন!
একটি সংবাদমাধ্যমকে চন্দনা জানান, “এখনও ভেবে উঠতে পারছিনা কী করব। তবে প্রথম মাইনের টাকায় মানুষের জন্য ভাল হয় এমন কিছুই করব। অত টাকা তো আমাদের লাগবেনা।” রাজমিস্ত্রীর কাজ করে দৈনিক ৪০০ টাকা পেতেন বিধায়কের স্বামী। চন্দনার আয়ের পরিমাণও এমন কিছু নয়। নুন আনতে পান্তা ফুরনো পরিবার থেকে উঠে আসা চন্দনা আজ বিধায়ক। এখনও বিধায়ক হিসাবে ভাতা পাননি তিনি। তবে খুব শিগগিরই সেই ব্যবস্থা চালু হয়ে যাবে। পশ্চিমবঙ্গে এই মুহূর্তে একজন বিধায়কের ভাতার পরিমাণ প্রায় ৮২ হাজার টাকা। যা জানতে পারার পর বিস্মিত চন্দনার প্রতিক্রিয়া, “এত টাকা মাইনে পাবো?”
বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হতেই আলোচিত মুখ হয়ে ওঠেন চন্দনা। জেতার পরেও বহুবার খবরের শিরোনামে আসেন তিনি। তার নিরাপত্তায় থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীদের থাকার বন্দোবস্ত করতে না পারা থেকে তার দৈনন্দিন জীবন সবটাই আলোচিত। বিধায়ক ভাতা পেয়ে কী করবেন চন্দনা, তা আরও একবার তাকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু করে তুলেছে রাজনৈতিক মহলের কাছে।