কলকাতা: বাংলার মসনদ দখলের লড়াইয়ে কার্যত আদা জল খেয়ে ময়দানে নেমেছিলেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব৷ দফায় দফায় রাজ্যে এসে প্রচার চালিয়েছিলেন মোদী-শাহ-নাড্ডারা৷ নিজে একাধিক সভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ এসেছেন বিজেপি’র তারকা প্রচারক তথা উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ৷ এসেছিলেন তাবড় নেতারা৷ এর পরেও ভোটের ফলে ভরাডুবি গেরুয়া শিবিরের৷ কিন্তু কেন এই বিপর্যয়? তার চুলচেরা বিশ্লেষনে বসেছিল রাষ্ট্রীয় স্বংয়সেবক সঙ্ঘ (আরএসএস)৷ তাঁদের সমীক্ষায় যে ছবি ফুটে উঠেছে, তাতে দেখে গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনপ্রিয়তার কাছেই হার মেনেছে বিজেপি৷
আরও পড়ুন-বীরভূমে সবুজ ঝড় উঠলেও বোলপুরে খাস অনুব্রতর ওয়ার্ডেই বিধ্বস্ত তৃণমূল
আরএসএস-এর সমীক্ষা বলছে, ভোটের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে টক্কর দেবে এমন কোনও মুখ তুলে ধরতে পারেনি বিজেপি৷ তার উপর অন্যতম ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছিল বাঙালি আবেগ৷ মোদী-শাহরা যে আবেগের সঙ্গে এঁটে উঠতে পারেনি৷ মোদী প্রতি সভা থেকে বাংলায় কথা বলেছেন৷ বাঙালির আবেগকে ছুঁতে চেয়েছেন, কিন্তু কার্যত সেই প্রয়াস কোনও কাজে লাগেনি৷ এমনই পর্যবেক্ষণই উঠে এল আরএসএস-এর মুখপত্রে৷ তবে বাংলায় বিজেপি বিপর্যয়ের যে রিপোর্ট অমিত শাহ চেয়ে পাঠিয়েছিলেন, তাতে এহেন কোনও তথ্যের উল্লেখ ছিল না৷ সেই রিপোর্টে নানা তথ্য পরিসংখ্যানের পাশাপাশি তৃণমূলের নেতাদের বিজেপি যোগ বিজেপি’র পালের হাওয়া কেড়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে৷ কিন্তু আরএএস বলছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনপ্রিয়তাই বিজেপি’র পরাজয়ের অন্যতম কারণ৷ এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কৃতিত্ব৷ সেই সঙ্গে কোনও কিছু বিচার বিবেচনা না করে তৃণমূল ত্যাগী নেতাদের বিজেপি’তে ঠাঁই দেওয়াও গেরুয়া বিপর্যয়ের কারণ হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে৷
আরও পড়ুন- একদিনে রাজ্যে সুস্থ ১৯,০০০! ভয় পাওয়াচ্ছে মৃত্যুর হার
একুশের ভোটে ২০০ পার করার হুঙ্কার দিয়েছিলেন অমিত শাহ৷ কিন্তু ৭৭-এই আটকে গিয়েছে তাদের দৌড়৷ তবে ৩ থেকে ৭৭ এ পৌঁছনোটাও একটা ভালো দিক বলে উল্লেখ করা হয়েছে৷ কারণ এবার ৭৭ বিধায়ক নিয়ে বিজেপি’ই রাজ্যেই প্রধান বিরোধী দল৷ ভোটের ফল ঘোষণার পর আরএসএসের মুখপত্রে দুটি নিবন্ধ প্রকাশ করা হয়েছে৷ যেখানে তৃণমূল থেকে লোক ভাঙানোর নীতির তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে৷ যাঁরা দল বদল করল, তাঁদের দক্ষতা কেন যাচাই করা হল না? সেই প্রশ্নও করা হয়েছে৷