কলকাতা: মুকুল রায়ের প্রত্যাবর্তনের পর এবার তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের বাড়িতে বৈঠক করলেন তৃণমূলত্যাগী বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়৷ দীর্ঘ বৈঠকের পর সমস্ত জল্পনায় জল ঢেলে প্রাক্তন বনমন্ত্রীর দাবি, কুণালের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ শুধুই সৌজন্যতার খাতিরে। পাশেই এক আত্মীয়ের বাড়িতে এসেছিলেন তিনি। সেখান থেকেই ফোন করেন কুণাল ঘোষকে। তৃণমূল মুখপাত্র সেসময় বাড়িতেই থাকার কারণে তাঁর সঙ্গে সৌজন্যতা সারতে চলে আসেন সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে ডোমজুড় থেকে বিজেপির টিকিটে পরাজিত রাজীব। রাজীবের পাশে দাঁড়িয়ে একই সুরে সুর মেলালেন কুণালও।
দুই নেতা এই সাক্ষাৎকে শুধুই সৌজন্যতার মোড়কে দেখাতে চাইলেও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইদানিং সময়ের কার্যকলাপ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে যে জল্পনা উস্কেছে, তার পুরোটাই উড়িয়ে দিতে পারছেন না রাজনৈতিক মহলের একাংশ৷ তৃণমূল ছেড়ে গেরুয়া উত্তর গলায় ঝোলানোর পর থেকেই বিজেপির সুরতালে নিজেকে বাঁধতে শুরু করেন রাজীব। ছন্দপতন ঘটে একুশের নির্বাচনে ডোমজুড় কেন্দ্রে হারের পর। তৃণমূলে থাকাকালীন ‘হেভিওয়েট’ রাজীব ক্রমশ আড়ালে চলে যেতে থাকেন। ফের ফিরে আসেন ‘বেসুরো’ হয়ে। তবে কি আবার একদা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আস্থাভাজন রাজীব ফিরবেন তৃণমূলে, এই প্রশ্ন ঘুরতে থাকে রাজনীতি সচেতন মানুষের মধ্যে।
কাদের পুনরায় দলে ফেরানো হবে, সে বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের গাইডলাইন ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন। নির্বাচনের আগে দলছুট এবং দলকে কুরুচিকর ভাষায় আক্রমণ করা কাউকেই তৃণমূল ঘরে ফেরাবে না বলে তিনি তার অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। এই শর্তে রাজীবের ঘরওয়াপসি যে কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে, তা নিয়ে শুরু চর্চা৷ আর পরিস্থিতিতে তৃণমূলে গুরুত্ব পাওয়া কুণালের সঙ্গে রাজীবের হঠাৎ ‘সৌজন্য’ সাক্ষাতের দিকে যে কড়া নজর রাখছে শাসক-বিরোধী সব পক্ষই, তা বলাবাহুল্য।