কলকাতা: রামপুরহাটের বগটুই নিয়ে উত্তাল গোটা বাংলা৷ ইতিমধ্যেই সেখানে ঘুরে এসেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার৷ এমনকী বগটুই গিয়েছিলেন ভিন রাজ্যের তিন বিজেপি সাংসদও৷ কিন্তু দেখা মেলেনি দিলীপ ঘোষের৷ যা অনেকের মনেই বিস্ময় জাগিয়েছে৷ যা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে গেরুয়া শিবিরেও৷ অনেকেই বলছেন, দিলীপ-শুভেন্দুর মধ্যে যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে তার ছায়া যেন এই আন্দোলনের উপর না পড়ে৷ সে কারণেই দিলীপ ঘোষকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে৷
আরও পড়ুন- ৫৪ পুলিশের প্রহরা অখ্যাত বগটুইয়ে! উপস্থিত খোদ ডিজি
সাম্প্রতিককালে দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষকে রাজ্যের যাবতীয় কর্মসূচিতেই অংশ নিতে দেখা গিয়েছে। রাজ্য সভাপতি থাককালীন যে ভাবে সমস্ত কাজে ঝাঁপিয়ে পড়তেন, সে ভাবেই বিভিন্ন ইস্যুতে নিজের মতামত ব্যক্ত করেছেন। কিন্তু অদ্ভূতভাবে বগটুই নিয়ে তিনি চুপ৷ বিজেপি সূত্রে খবর, বগটুই আন্দোলন যে রূপই নিক না কেন, চলতি মাসে দিল্লিতেই থাকবেন দিলীপ। সংসদের অধিবেশন শেষে এপ্রিল মাসে ফিরবেন তিনি৷
কলকাতা হোক বা তিনি যে প্রান্তেই তিনি থাকুন না কেন, প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে সব বিষয়েই মন্তব্য করে থাকেন দিলীপ। কিন্তু, সব বিষয়ে দিলীপের কথা বলাটা বর্তমান রাজ্য নেতৃত্বের অনেকেরই না-পসন্দ। এই বিষয়টা দলের অন্দরে সকলেরই জানা৷ কিন্তু দিলীপকে রুখবে কে? সাতসকালে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে মনের কথা উগরে দেওয়াই তাঁর মর্জি। তবে, বগটুই-কাণ্ডের আবহে নিজে থেকেই কি চলে গেলেন দিলীপ? নাকি, এর পিছনে দলীয় কোনও নির্দেশ রয়েছে? যদিও এ প্রসঙ্গে মুখ খোলেননি কোনও দলীয় নেতৃত্ব৷
এদিকে, দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে আন্দোলন চালানোর কৌশল নিয়েছে বিজেপি৷ এক দিকে পরিষদীয় দলের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বিধায়কদের নিয়ে বগটুই যাওয়ার পাশাপাশি বিধানসভায় প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। অন্য দিকে, কেন্দ্রীয় বিজেপি’র প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে রয়েছেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার৷ বিজেপি সূত্রে এমনটাও জানা গিয়েছে যে, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ইচ্ছা, শুধু সুকান্ত এবং শুভেন্দুর নেতৃত্বেই বগটুই আন্দোলন চলুক। সেই কারণেই এই বিষয়ে নিশ্চুপ রাজ্যের চার মন্ত্রী ও রাজ্য নেতারা৷