বিশ্বভারতীর পৌষমেলা প্রাঙ্গণে দেহব্যবসা চলে: বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা

 বিশ্বভারতীর উন্মুক্ত মেলাপ্রাঙ্গণে রীতিমতো বেআইনি, অসামাজিক কাজকর্ম চলে। সেক্স র্্যাকেট থেকে শুরু করে মদ,গাঁজার অবাধ কারবার এখানে। পাশাপাশি পৌষমেলা ঘিরে রাজ্যের শাসকদলের নেতাকর্মীদের মোটা টাকা মুনাফা হয় তাই পাঁচিল তৈরি করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেছেন বিজেপি মহিলা মোর্চা রাজ্য সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল।

বোলপুর: শান্তিনিকেতনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নষ্ট করে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন পৌষমেলার মাঠ পাঁচিল দিয়ে ঘিরে দেওয়াকে কেন্দ্র করে গত ১৭ আগস্ট প্রতিবাদের ঝড় ওঠে বিশ্বভারতী চত্বরে। সামিল হন বিশ্ববিদ্যালয়ের আশ্রমিক থেকে শুরু করে এলাকার সাধারণ মানুষ। এর জেরে এদিন সকালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ভাঙচুরও চালানো হয়। ভেঙে দেওয়া হয় সদ্য শুরু হওয়া পাঁচিলের ভিতের অংশ। কিন্তু এরপরেই পাঁচিল ভাঙা নিয়ে বিতর্ক প্রসঙ্গে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বক্তব্য আগুনে ঘৃতাহুতি দেয়। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অতীতের অবস্থান বজায় রেখেই তিনি ফের দাবি করেন, বিশ্বকবির স্মৃতি বিজড়িত পৌষ মেলা প্রাঙ্গণ 'জুয়া খেলা, মদ্যপান, পতিতাবৃত্তিসহ অসামাজিক ক্রিয়াকলাপের প্রাঙ্গণ হয়ে উঠেছে৷  শুক্রবার উপাচার্যের এই বক্তব্যকে সমর্থন জানালেন বিজেপি মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল৷

এদিন বিশ্বভারতীর সামগ্রিক পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ খবর নিতে বোলপুরের দলীয় কয়েকজন কর্মকর্তাকে সঙ্গে নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। এরপর উপাচার্যকে সঙ্গে নিয়েই স়ংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তাঁর দাবিকে সমর্থন করেন। মেলাপ্রাঙ্গণ ঘুরে দেখার পর ভাঙচুরের ঘটনায় রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে একে পূর্ব পরিকল্পিত বলে উল্লেখ করেন অগ্নিমিত্রা এবং ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি করেন তিনি।

তিনি জানিয়েছেন, ন্যশনাল গ্রিন ট্রাইবুনালের নির্দেশ মেনেই এই পাঁচিল দেওয়া হচ্ছে। তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন যে এই পৌষ মেলাকে কেন্দ্র করে পরিবেশ দূষণের কারণে রাজ্য সরকারের পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ ও ন্যাশনাল গ্রীন ট্রাইবুনাল এনিয়ে বিশ্বভারতীর বিরুদ্ধে মামলাও করেছে।  পাশাপাশি উপাচার্যর বক্তব্যের সুরে সুর মিলিয়ে  তিনিও বলেন বিশ্বভারতীর উন্মুক্ত মেলাপ্রাঙ্গণে রীতিমতো বেআইনি, অসামাজিক কাজকর্ম চলে। সেক্স  ব়্যাকেট থেকে শুরু করে মদ,গাঁজার অবাধ কারবার এখানে। তিনি আরও উল্লেখ করেন পৌষমেলা ঘিরে রাজ্যের শাসকদলের নেতাকর্মীদের মোটা টাকা মুনাফা হয় তাই এই পাঁচিল তৈরি করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।

নেত্রীর সাফ কথা, পাঁচিল নির্মাণ হবেই, তবে সাধারণ মানুষের প্রাতঃভ্রমণ বা বাচ্চাদের খেলাধুলার জন্য মাঠে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি ।  বিশ্বভারতী প্রাঙ্গণে ভাঙচুরের ঘটনায় প্রয়োজনে সিবিআই তদন্ত কিংবা প্রধানমন্ত্রী নেতৃত্বাধীন কোন তদন্ত কমিটি গঠন করা হোক বলেও দাবি করেছেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen − 4 =