গাইঘাটা: সিপিএম ও তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন দুই দলের প্রায় পাঁচ শতাধিক কর্মী। সেই উপলক্ষে পুলিশের অনুমতির অপেক্ষা না করে বাইক মিছিল করলেন বিজেপি নেতৃবৃন্দ্। যোগদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকলেন রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরী, বারাসত সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি শংকর চ্যাটার্জী, বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস।
অনুষ্ঠানে যোগ দেবার জন্য চাঁদপাড়া বকচরা গোলদার পাড়ার মোড় থেকে শতাধিক বাইক নিয়ে ধরমপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় জয়তারা পর্যন্ত মিছিল করেন জেলা সভাপতি ও বনগাঁর উত্তরের বিধায়ক। অথচ একবারের জন্যও কেউ পুলিশের অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেননি।
বরং খোদ বারাসত সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি শংকর চ্যাটার্জীর দাবি বিজেপির কোনও সভা বা মিছিলে অনুমতি দেয় না পুলিশ, তাই তারা অনুমতি নেওয়ার নাকি প্রয়োজনই বোধ করেননি। খোদ বিধায়ক এবং বিরোধী দলের রাজ্য সভাপতি যে অনুষ্ঠানে থাকলেন সেই অনুষ্ঠানে আরেকটু দায়িত্বশীলতা কি আশা করা যায় না?
মিছিল শুরুর আগে তার অপসারণের দাবিতে ঠাকুরনগরের বিক্ষোভ মিছিলের কড়া সমালোচনা করেন। তাঁর দাবি, তৃণমূল থেকে টাকা নিয়ে কিছু লোক যারা বিজেপি নয়, তারা এসব করছে। ঠাকুরবাড়িকে কালিমালিপ্ত করার প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে তাঁর দাবি। শান্তুনু ঠাকুরের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্ক খুবই ভালো বলে জানান তিনি।
তৃণমূল কংগ্রেসের বনগাঁ লোকসভা কমিটির চেয়ারম্যান গোবিন্দ দাস জানান, তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে বেশি লোক যোগদান করে না। কয়েকজন হয়তোবা যোগদান করে কিন্তু তারা সেখানে থাকতে পারে। বিনা অনুমতিতে বাইক মিছিল প্রসঙ্গে তিনি বলেন এটি আইনবিরুদ্ধ। প্রশাসনের ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। বিজেপি জেলা সভাপতির অপসারণ চেয়ে মিছিল প্রসঙ্গে তিনি বলেন তৃণমূল কংগ্রেস কোন ব্যক্তিকে টাকা দিয়ে তেমন কাজ করায় না। এটা বিজেপির দলীয় ব্যাপার। তবে সে যাই হোক আপাতত পাঁচশ কর্মী দলে যোগ দেওয়ায় কিছুটা হলেও মনোবল চাঙ্গা হয়েছে পদ্ম শিবিরের।