পারিবারিক কেচ্ছা নিয়ে অসন্তোষ, শোভন-বৈশাখী ‘কাঁটা’ বিঁধছে বিজেপির

পারিবারিক কেচ্ছা নিয়ে অসন্তোষ, শোভন-বৈশাখী ‘কাঁটা’ বিঁধছে বিজেপির

c1db261f58cbfa788fa86b35ae503ed3

কলকাতা: তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে দেবার পর বহুদিন কার্যত রাজনীতির বাইরে ছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। পরবর্তী ক্ষেত্রে বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে যে ধরনের বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল তাতে তাঁকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক পারদ তুঙ্গে ওঠে ছিল বাংলায়। পরবর্তী ক্ষেত্রে দুজনেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তবে দলের হয়ে সক্রিয় করতে শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিষয়ে অনেক কাঠ-খড় পোড়াতে হয়েছে বিজেপিকে। অনেক সময় পর দুজনে একসঙ্গে বিজেপির হয়ে সক্রিয় হলেও এখন পারিবারিক ইস্যুতে দুজনকে নিয়ে বেজায় সমস্যায় পড়েছে ভারতীয় জনতা পার্টির বঙ্গ শিবির। জানা গিয়েছে, দুজন কে কেন্দ্র করে যে পারিবারিক কেচ্ছা এবং খবরা-খবর রটছে তা নিয়ে বেশ অসন্তুষ্ট গেরুয়া শিবির।

রাজনৈতিক কর্মসূচিতে কেন জায়গা পাচ্ছে পারিবারিক কেচ্ছা এবং বিবাহ বিচ্ছেদ প্রসঙ্গ, এই ইস্যুতে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে বার্তা দেওয়া হয়েছে বিজেপির তরফ এমনটাই খবর মিলছে দলীয় সূত্রে। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে পারিবারিক ইস্যু অনেক বেশি প্রাধান্য পেয়ে যাচ্ছে সেই কারণে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে, কার্যত এমন ‘অভিযোগ’ শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বিরুদ্ধে। বিজেপি সূত্রের খবর, দলীয় কর্মসূচিতে ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক বিষয়ে কোনো রকম মন্তব্য করতে পারবেন না তারা এমন বার্তা দেওয়া হয়েছে দুজনকে। এদিকে প্রেমের সপ্তাহে শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি দল। সেই নিয়েও কার্যত অস্বস্তি রয়েছে গেরুয়া শিবিরে। তাই এক কথায় বলা যায়, শোভন এবং বৈশাখীকে নিয়ে আপাতত টালমাটাল অবস্থায় রয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি শিবির। 

আসলে এর আগে বেশ কয়েকটি বিজেপির জনসভায় দেখা গিয়েছে, শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে রত্না চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর বাবাকে নিশানা করেছেন। এই বিষয়টি নিয়ে আপত্তি রয়েছে বিজেপি শিবিরের। কারণ যে বিষয় নিয়ে তারা বক্তব্য রেখেছেন বা আক্রমণ করেছেন সেটি পুরোপুরি পারিবারিক বিষয়, তার সঙ্গে রাজনীতির কোন যোগ নেই। সেই কারণেই ব্যাপারটিকে ভালো চোখে দেখছে না পদ্ম বাহিনী। আর ঠিক এই কারণেই শোভন এবং বৈশাখের উদ্দেশ্যে বার্তা দেওয়া হয়েছে তারা যেন দলীয় কর্মসূচি কোন অনুষ্ঠানে পারিবারিক বিষয় সংক্রান্ত কোনো রকম আলোচনা বা বক্তব্য পেশ না করেন। এক কথায় বিজেপির তরফ থেকে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে যে ব্যক্তিগত এবং রাজনৈতিক ইস্যু সম্পূর্ণ আলাদা ভাবে বিচার করতে। এইভাবে শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দোপাধ্যায়কে নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসও যে বিজেপিকে সমালোচনার সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে বহু ক্ষেত্রে তা অস্বীকার করা যাচ্ছে না।‌ এতে আখেরে ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে বিজেপিরই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *