‘লড়তে হয় তাই লড়া’! কলকাতা পুরভোট নিয়ে চাপই নিচ্ছে না গেরুয়া শিবির

‘লড়তে হয় তাই লড়া’! কলকাতা পুরভোট নিয়ে চাপই নিচ্ছে না গেরুয়া শিবির

8ec2f5c409890abc3080a815f0875989

কলকাতা: কলকাতা পুরভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ হয়ে গিয়েছে৷ আগামী ১৯ ডিসেম্বর কলকাতায় পুর নির্বাচন৷ মনোনয়ন জমা দেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে৷ ১ ডিসেম্বর মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ৷ অথচ শনিবার দুপুর পর্যন্ত প্রার্থী তালিকা নিয়ে আলোচনাতেই বসতে পারল না বিজেপি নেতৃত্ব৷ এদিকে পুরভোটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হতেই শুক্রবার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে বামফ্রন্ট৷ রাত হতেই প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে দেয় তৃণমূল৷ কিন্তু বিজেপি’র টিকিও খুঁজে পাওয়া যায়নি৷ পুরভোটের আগে অনেটাই ‘নিস্তেজ’ রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল৷ 

আরও পড়ুন- পুরভোটে তারুণ্যই ভরসা বামেদের, প্রার্থী তালিকায় গুচ্ছ নতুন মুখ

রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার দিল্লি থেকে বালুরঘাটে ফিরে রবিবারই কলকাতায় আসবেন। এদিকে সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে লোকসভার অধিবেশন৷ শীত কালীন অধিবেশনে যোগ দিতে সোমবারই দিল্লি যাওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। সে দিনই সম্ভবত কৃষি আইন সংশোধন সংক্রান্ত বিল আনতে চলেছে কেন্দ্র৷ সেই কারণে ‘থ্রি লাইন হুইপ’ জারি করেছে দল। বিজেপি’র লোকসভা এবং রাজ্যসভার সাংসদদের অধিবেশনের প্রথম দিন উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে কলকাতা পুরভোটে বিজেপি’র লড়াই যেন ‘নামমাত্র’।

কবে প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হবে, তা নিয়ে স্পষ্ট ইঙ্গিত দিতে পারেননি রাজ্য সভাপতিও৷ রবিবার তিনি কলকাতায় এলেও ওই দিনই প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত হবে কি না, সে সম্পর্কে নিশ্চিত নন তিনি৷ সোমবার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করার চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন। সুকান্ত বাবুর সাফাই, ‘‘আচমকা পুর ভোট ঘোষণা করা হয়েছে৷  আমরা চেয়েছিলাম, গোটা রাজ্যে একসঙ্গে পুর নির্বাচন হোক। কিন্তু শুধুমাত্র কলকাতার জন্য একতরফা নির্বাচন ঘোষণা হয়েছে৷ এর পিছনে শাসকের উদ্দেশ্য স্পষ্ট।’’ 

জানা গিয়েছে, বিজেপি’র কলকাতা উত্তর ও দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার নেতাদের পুর ভোটের প্রার্থী তালিকা তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে৷ সেই তালিকা প্রস্তুত করে শনিবারের মধ্যেই জমা দেওয়ার কথা তাঁদের। এর পর তা বিবেচনা করে দেখবে রাজ্য নেতৃত্ব৷ প্রার্থী তালিকায় চূড়ান্ত সিলমোহর দেবেন সুকান্ত মজুমদার৷ তবে কানাঘুষো, কলকাতা পুরভোটকে তেমন গুরুত্ব দিতে চাইছে না দল৷ আড়ালে সেই কথা স্বীকার করেছেন খোদ বিজেপি’র নেতারাই৷ বিধানসভা ভোটের পর যে ভাবে বিজেপি ভেঙে পড়েছে, তাতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করার মনোবলও তলানিতে৷ তাই বেছে বেছে ওয়ার্ডেই লড়াই করবে গেরুয়া শিবির৷ এককথায় ‘চাপ নিচ্ছে না দল’৷
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *