কলকাতা: দিনহাটার বিজেপি কর্মীর মৃত্যুতে রিপোর্ট দিয়ে বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে জানিয়েছেন, উনি আত্মহত্যা করেছিলেন খুন হননি। জানা গিয়েছে, বিধানসভা নির্বাচনের টিকিট না পেয়ে আত্মহত্যা করেছেন বিজেপি নেতা। ডিপ্রেশনের ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন তিনি। এমনকি সুইসাইড নোটেও ডিপ্রেশনের প্রমাণ মিলেছে। যদিও বিজেপি ওই ঘটনাকে খুন বলে পুনরায় দাবি করেছে। বিজেপি নেতা শিশির বাজড়িয়া আজ এই দাবি করে ওই খুনের সঙ্গে তৃণমূলের যোগের কথাও বলেন। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন অবশ্যই নিজের মত তদন্ত করবে । কিন্তু সেক্ষেত্রেও তারা রাজ্য পুলিশের রিপোর্ট নেবে বলে তিনি উল্লেখ করে।
সূত্রের খবর, বিগত কিছু সময় ধরে ওই বিজেপি নেতা চূড়ান্ত হতাশ ছিলেন। পরিবারের লোকেদের সঙ্গে কথা বলে এবং বিশেষত ওই বিজেপি কর্মীর স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে এমনটা জানা গিয়েছে। বিজেপি নেতার স্ত্রী কোন রকম ভাবেই তৃণমূল কংগ্রেসের নাম নেননি বা তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ জানাননি। এদিকে জানা গিয়েছে শুধুমাত্র টিকিট না পাওয়া নিয়ে নয়, বিজেপির ওই নেতা দলেরই এক মহিলা কর্মীর আচরণেও হতাশ ছিলেন। সকলের সঙ্গে কথা বলে এবং সরেজমিনে বিষয়টি তদন্ত করে নির্বাচন কমিশনে আত্মহত্যার জমা দিয়েছেন বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে।
আরও পড়ুন- ‘‘আমি বাইরের মেয়ে? তুই কবে নন্দীগ্রামের ছেলে হলি? ’’ শুভেন্দুকে তীব্র আক্রমণ মমতার
ভোটের মুখেই কোচবিহারের দিনহাটায় বিজেপি নেতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় রাজ্যের। সঙ্গে সঙ্গেই তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে আঙুল তুলে বিজেপি অভিযোগ করে যে ওই নেতাকে অন্য কোন জায়গায় মারধর করে, খুন করে, এখানে এনে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। দাবি করা হয়, ভোটে হেরে যাওয়ার ভয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস সেই কারণেই এইভাবে বিজেপির নেতা এবং কর্মীদের খুন করা হচ্ছে রাজ্যে। যদিও তৃণমূল কংগ্রেস সেই অভিযোগ সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করে।