কাঁথি: তৃণমূল কংগ্রেস অনেক আগে থেকেই দাবি করে আসছে যে বাংলার নির্বাচনের জন্য বিপুল টাকা খরচ করছে বিজেপি। টাকা দিয়ে ভোট কেনার চেষ্টা করছে তারা। একইসঙ্গে ইভিএম বিকল করে ভোট লুট করার প্রক্রিয়া করবে বিজেপি এমন দাবিও করা হয়েছিল তাদের তরফে। এবার দক্ষিণ কাঁথিতে যে ঘটনাটা ঘটল তা অবশ্য ভাবে প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে ইভিএম কারচুপির। অভিযোগ উঠছে, সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দিলে সেই ভোট গিয়ে পড়ছে বিজেপিতে! ভোট দাতাদের বিক্ষোভের জন্য আপাতত সেখানে ভোট প্রক্রিয়া বন্ধ। মাজিনার পাশে আরও একটি বুথে একই অভিযোগ।
ভোট দাতাদের একাংশের অভিযোগ, ইভিএমে তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দিলে সেই ভোট গিয়ে পড়ছে বিজেপিতে। এই প্রেক্ষিতে আপাতত ভোট বন্ধ রাখা হয়েছে সেখানে, ভোটকেন্দ্রের দরজাও বন্ধ এবং বুথের বাইরে প্রচুর মানুষ ভিড় জমিয়েছেন। অধিকাংশের দাবি, ভোট প্রক্রিয়া আবার পুনরায় শুরু করতে হবে কারণ তারা যে দলকে ভোট দিয়েছেন সেই দলে তাদের ভোট না দিয়ে অন্য দলে পড়েছে। এইভাবে কেন ভোট দান অব্যাহত রাখা হবে সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তারা। যদিও এই ঘটনায় প্রিসাইডিং অফিসার দাবি করছেন, ভোটাররা ভিভিপাট দেখেও অভিযোগ তুলছেন যেটা সম্ভব নয়। তবে ভোটগ্রহণ যাতে বিঘ্নিত না হয় সেই কারণে খানিকক্ষণ ভোট প্রক্রিয়া বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
এদিন শুরুতেই পূর্ব মেদিনীপুরের একাধিক বুথে ইভিএম বিকলের ঘটনা ঘটেছে। জায়গায় জায়গায় ভোট প্রদান বেশ কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ ছিল। এদিকে নন্দীগ্রামের বিজেপির প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন অধিকারী জানিয়েছেন, জেলায় একাধিক জায়গায় ভোট শুরুর সময় থেকে ইভিএম সমস্যা হচ্ছিল, কিন্তু নির্বাচন কমিশন ব্যাপারটিতে হস্তক্ষেপ করেছে। এই ধরনের ঘটনা দেশের যে কোনো নির্বাচনে ঘটে তাই সমস্যার কোনো রকম কারণ নেই।