কলকাতা: একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে নানা খুঁটিনাটি বিষয়কে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্ব লেগেই রাজনৈতিক শিবিরের মধ্যে। নেতাদের আক্রমণ প্রতি-আক্রমণে ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে বাংলার রাজনৈতিক পরিস্থিতি। শাসকদলকে কোণঠাসা করতে যখন কোমর বেঁধে নেমেছে গেরুয়া শিবির, তখনই বিজেপির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্যের মানুষের কাছে ফোন করে তৃণমূল কংগ্রেসের নাম করে গালাগালি দিচ্ছে বিজেপি, এদিন এমনটাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। জনৈক এক ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে এদিন বিজেপির আইটি সেলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন তৃণমূল সুপ্রিমো। তাঁর কথায়, “তৃণমূল কংগ্রেসের নামে ফোন করছে। প্রথমে একটু মিঠে আলাপ করছে, তারপরেই গালাগালি দিচ্ছে।” একটি প্রাইভেট নম্বর থেকে অনেকের কাছেই এমন ফোন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে তিনি।
এদিন এক সাংবাদিক সম্মেলন থেকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, বিজেপির আইটি সেল ছাড়া এ ধরণের কাজ আর কেউ করবে না। এমন ঘৃণ্য আচরণের তীব্র সমালোচনাও করেছেন তিনি। তিনি বলেন, “এদের লজ্জা নেই। কুৎসা করা ছাড়া আর কোনো কাজ নেই। ন্যূনতম ভদ্রতাবোধ নেই।” অমিত শাহের কথার সূত্র টেনে এনে বিজেপির এক লক্ষ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ আছে বলেও দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, যে কোনো মিথ্যা খবরকে সেকেন্ডের মধ্যে ভাইরাল করার ক্ষমতা রাখে বিজেপির আইটি সেল।
ভোটের আগে শাসকদলের ভাবমূর্তিকে কলুষিত করার বিজেপির চক্রান্তকে প্রশ্রয় না দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যবাসীর কাছে তাঁর আবেদন, “সব ফোন ধরবেন না। সবার সঙ্গে কথা বলবেন না। জেনে রাখবেন এটা বিজেপির আইটি সেলের কাজ।” এ ধরণের নোংরামো দেখলে পুলিশ এবং সাইবার ক্রাইম বিভাগের কাছে অভিযোগ দায়ের করার আবেদনও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পড়ুয়ার সঙ্গে সম্প্রতি এই ফোনের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সূত্রেই বিষয়টি সামনে এসেছে। তবে শুধু ওই পড়ুয়াই নয়, তৃণমূল কংগ্রেসের এই “ভুয়ো” ফোন পেয়েছেন আরো অনেকেই। পুলিশকে এই বিষয়ে তদন্ত করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।