কলকাতা: গতকাল রাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নন্দীগ্রামে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় ইতিমধ্যে ব্যাপক চাপানউতোর শুরু হয়ে গিয়েছে গোটা রাজ্যে। গ্রিন করিডোর দিয়ে তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসার পর সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী এবং সমর্থকরা জমা হয়েছে। গতকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে আসেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। সেই সময় তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ হয় এবং গো-ব্যাক স্লোগান দেওয়া হয়। আজকেও হাসপাতাল চত্বর শুনল এই স্লোগান যখন, বিজেপির প্রতিনিধি দল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখতে এল। তথাগত রায় থেকে শুরু করে শমীক ভট্টাচার্য, সব্যসাচী দত্ত ছিলেন বিজেপির এই প্রতিনিধি দলে যারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখতে এসেছিলেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে আসার মুখে ব্যাপক বিক্ষোভের সম্মুখীন হয় ভারতীয় জনতা পার্টি শিবিরের প্রতিনিধি দল। তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী এবং সমর্থকরা গো-ব্যাক স্লোগান তুলতে শুরু করে। পরিস্থিতি যথেষ্ট উত্তপ্ত হয়ে যায়। যদিও সেই সময় ঘটনাস্থলে পুলিশ ছিল এবং তারা সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। উত্তেজিত ঘাসফুল সমর্থক এবং কর্মীদের ধীরে ধীরে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রসঙ্গত, গতকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আঘাত পাওয়ার ঘটনা ঘটার পর থেকেই পরপর বিজেপি নেতারা এটিকে নাটক বলে কটাক্ষ করে আসছেন। একই সঙ্গে ‘আসল সত্য’ তুলে ধরার জন্য কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তদন্ত দাবি করেছে বিজেপি। সেই দলের প্রতিনিধিরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে আসলে যে বিক্ষোভ প্রদর্শন হবে, তা অনুমান করা খুব একটা কঠিন কাজ নয়। অবশেষে হলও তাই।
আরও পড়ুন- ‘মমতার বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর হামলার পূর্বাভাস ছিল’, বিস্ফোরক দাবি পার্থর
এদিন ভিডিও বার্তায় তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, কাল তিনি গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে নমস্কার করছিলেন। সেই সময় প্রচন্ড চাপাচাপি হয়। মাথায় এবং পায়ে গুরুতর আঘাত লাগে তাঁর, শ্বাসকষ্টের সমস্যা শুরু হয়। চাপাচাপি হওয়ার কারণে ভিড়ের জন্য গাড়ির দরজা চেপে যায় বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে তিনি জানান, কাল প্রচন্ড জোরে লেগেছিলো এবং হাত, পা, লিগামেন্টে চোট রয়েছে। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি তাঁর কর্মসূচি কিছুই নষ্ট করতে চান না। পায়ের সমস্যা থাকলেও তিনি ম্যানেজ করে নেবেন।