কলকাতা: বাদল অধিবেশনের বাকি দিনগুলির জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনকে৷ শুক্রবার পেগাসাস নিয়ে কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বিবৃতি দেওয়ার সময় তাঁর হাত থেকে বিবৃতিপত্র ছিনিয়ে নিয়েছিলেন শান্তনু৷ এর পর সেটি ছিঁড়ে ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণ সিংহের আসনের দিকে ছুড়ে দেন। এই ঘটনার জেরেই শুক্রবার তাঁকে সাসপেন্ড করেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু৷ এই ইস্যুতে তাঁকে পরামর্শ দিলেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত। প্রসঙ্গত, আগামী ১৩ অগস্ট পর্যন্ত সাসপেন্ড শান্তনু সেন। ওইদিন পর্যন্তই চলবে বাদল অধিবেশন।
বিজেপি নেতা স্বপন দাশগুপ্ত বলেন, ক্ষমা চেয়ে চিঠি দিলে ভিন্ন পরিস্থিতি হতে পারে। অর্থাৎ তিনি এক কথায় তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদকে ক্ষমা চাইতে বলছেন নিজের আচরণের জন্য। ওই তাঁর এই মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। স্বপনের বক্তব্য, কেউ যদি ভেবে থাকে যে যা ইচ্ছা করবে তাহলে ব্যাপারটা খারাপ। সংসদীয় রাজনীতিতে এক ধরনের আচরণ দরকার। কিন্তু তার বাইরে কেউ বিরূপ আচরণ করলে ব্যবস্থা নেওয়াই হবে। তবে চিঠি দিয়ে যদি ক্ষমা চাওয়া হয় তাহলে ব্যাপারটা আলাদা হতে পারে। এই প্রেক্ষিতে তৃণমূল জানাচ্ছে, কেন্দ্রীয় সরকারের একের পর সিদ্ধান্ত নিয়ে বলতে গেলে সংসদে বলতে দেওয়া হয় না। এই সরকার স্বৈরাচারী।
আরও পড়ুন- জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত স্পাইওয়্যার বিরোধীদের উপর কেন? শাহের ইস্তফা দাবি রাহুলের
উল্লেখ্য, শুক্রবার সকালে রাজ্যসভার নেতা পীযূষ গয়ালের সঙ্গে দেখা করেন বেঙ্কাইয়া নাইডু৷ ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখতার আব্বাস নাকভি এবং ভি মুরলিধরন৷ ওই বৈঠকেই শান্তনুর শাস্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ রাজ্যসভার অধিবেশন শুরু হতেই শান্তনু শান্তি ঘোষণা করেন তিনি৷ এদিকে শান্তনু সেনকে সাসপেন্ড করার পরেই রাজ্যসভায় তুমুল বিক্ষোভ শুরু করে তৃণমূল সাংসদরা৷ পাল্টা অভিযোগ তুলে ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, বিবৃতিপত্র ছেঁড়ার পর শান্তনুর দিকে তেড়ে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী৷ তাঁর বিরুদ্ধে অসংসদীয় বাক্যও ব্যবহার করা হয়৷ তাহলে কেন তাঁকে শাস্তি দেওয়া হল না? এর পরেই মুলতুবি হয়ে যায় রাজ্যসভার অধিবেশন৷