শিলিগুড়ি: বিজেপি যুব মোর্চার উত্তরকন্যা সফর ঘিরে তোলপাড় শিলিগুড়ি৷ বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের রূপ নেয় শিলিগুড়ির ফুলবাড়ি মোড়৷ মৃত্যু হয় উলেন রায় নামে এক বিজেপি কর্মীর৷ অভিযোগ, পুলিশ ছোড়া রবার বুলেট লেগেই মৃত্যু হয়েছে ওই বিজেপি কর্মীর৷ আহত হয়েছেন প্রায় ২০ জন৷ তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ আহত দলীয় কর্মীদের সঙ্গে দেখা করার পর সাংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন দিলীপ ঘোষ৷ এদিকে, এদিনের ঘটনার প্রতিবাদে আগামীকাল ১২ ঘণ্টার বনধের ডাক দিয়েছে বিজেপি৷
আরও পড়ুন- বিজেপি’র উত্তরকন্যা সফর ঘিরে ধুন্ধুমার উত্তরবঙ্গে, মৃত ১ কর্মী!
এদিন হাসপাতালে সকল আহত কর্মীর সঙ্গে দেখা করার পর বঙ্গ বিজেপি সভাপতি বলেন, ‘‘প্রায় ১৫ জন কর্মীর সঙ্গে দেখা করেছি৷ অধিকাংশ কর্মীরই বুকেই গুলি লেগেছে৷ তাদের শরীরে কালো দাগ দেখা গিয়েছে৷ পাখি মারার বন্দুক দিয়ে গুলি করলে সাধারণত এমনটা হয়৷ নিহত বিজেপি কর্মী উলেন রায়েক গায়েও একই ধরনের ছিটে দেখা গিয়েছে৷ প্রচুর রক্ত ঝরেছে৷ অন্য চোটও রয়েছে তাঁর৷ তবে কী ভাবে তাঁর মৃত্যু হল তা এখনও স্পষ্ট নয়৷ হাসপাতালে চিকিৎসা শুরু হওয়ার পরই তাঁর মৃত্যু হয়েছে৷ ময়নাতদন্তের পর পুরো বিষয়টি স্পষ্ট হবে৷ তবে তাঁর সারা শরীরে যে গুলি লাগার চিহ্ন রয়েছে, তা অস্বীকার করার জায়গা নেই৷’’ তিনি বলেন, ‘‘পুলিশ এই গুলি চালিয়েছে নাকি তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা পুলিশের সঙ্গে মিশে এই কাজ করেছে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে৷ এই ধরনের গুলি কেন চালানো হল, তার জবাব পুলিশকে দিতে হবে৷’’
এদিকে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে শুধুমাত্র জলকামান ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করা হয়েছে৷ রবাট বুলেট বা লাঠিচার্জ করা হয়নি৷ এর পরিপ্রেক্ষিতে দিলীপ ঘোষ বলেন, আমাদের কর্মীদের গায়ে গুলির দাগও আছে৷ লাঠির চোটও রয়েছে৷ বাড়ির ছাদ থেকে হাত বোমাও ছোড়া হয়েছে৷ পুলিশ ও দুষ্কৃতীরা মিলিতভাবে বিজেপি’র উপর এই হামলা চালিয়েছে৷ তাঁর কথায়, শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বারবার বাধা দেওয়া হচ্ছে৷ লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস, জলকামান এমনকী গুলিও চালানো হচ্ছে৷ রাজ্যে খুনের রাজনীতি করা হচ্ছে৷
আরও পড়ুন- ‘টাকা দিয়েছিস? হিসেব চাইবি?’ কেন্দ্রকে চরম হুঁশিয়ারি মমতার
তবে আজকের কর্মসূচি সফল বলেই দাবি করেন দিলীপ ঘোষ৷ তিনি বলেন, শিলিগুড়ি শহরকে সকাল থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছিল৷ তার পরেও বহু মানুষ রাজ্যে এসেছেন৷ সরকার ভয় পেয়ে গিয়েছে৷ সরকারের উপর মানুষের যে ক্ষোভ বাড়ছে এটা তারই প্রমাণ৷ এই ঘটনার প্রতিবাদে আগামীকাল উত্তরবঙ্গে ১২ ঘণ্টার বনধ ডেকেছে বিজেপি৷