কেন বাংলাদেশে মোদী? তৃণমূলের অভিযোগের পাল্টা জবাব বিজেপির

কেন বাংলাদেশে মোদী? তৃণমূলের অভিযোগের পাল্টা জবাব বিজেপির

কলকাতা: বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক প্রাকমুহুর্তে বাংলাদেশ সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই সফরকে কেন্দ্র করে এখন তার বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। দাবি করা হয়েছে, বাংলার নির্বাচনকে মাথায় রেখে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কিছু সংখ্যক ভোটারকে প্রভাবিত করার জন্য বাংলাদেশ সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, তাই জন্য সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিলেন বাংলার বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কেন বাংলাদেশ সফরে গিয়েছিলেন তার ব্যাখ্যা এদিন নির্বাচন কমিশনে দিয়ে দিল ভারতীয় জনতা পার্টি শিবির। একইসঙ্গে একহাত নেওয়া হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসকেও। 

বিজেপি দাবি করছে, দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বাংলাদেশ সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন হচ্ছে সুতরাং তাঁর একার পক্ষে একটি নির্দিষ্ট রাজ্যের নির্বাচনের কথা মাথায় রাখার কথা নয়। বিধানসভা নির্বাচনের জন্য দেশের কাজ থামিয়ে রাখা যায় না। আর পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার এই নিয়ে অভিযোগ করছে কারণ বাংলাদেশের অনুপ্রবেশকারী নিয়ে তাদের চিন্তা, সেখানকার রোহিঙ্গাদের নিয়ে তাদের চিন্তা, সেই কারণেই এই ধরনের অভিযোগ তোলা হচ্ছে। সবচেয়ে বড় কথা, বিজেপি কেন্দ্রীয় সরকার চালাচ্ছে তাই পারস্পরিক দেশের সঙ্গে সম্পর্কের ব্যাপারে তারা বেশি ভালো জানবে। এদিকে আরও দাবি করা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশে মাজারে গিয়েছিলেন সেটা নিয়ে কোনো আলোচনা নয়, কিন্তু যেহেতু তিনি হিন্দু মন্দিরে গিয়েছিলেন সেই নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।

উল্লেখ্য তৃণমূল কংগ্রেস দাবি করছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যে ২৬-২৭ মার্চ বাংলাদেশ সফরে গিয়েছিলেন সেটাতে তৃণমূল কংগ্রেসের কোন আপত্তি নেই। ২৬ মার্চ বাংলাদেশের ৫০ তম স্বাধীনতা দিবস ছিল এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতায় ভারতের অবদান অনস্বীকার্য তাই এই সফর নিয়ে আপত্তি থাকার কথা নয়। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস প্রত্যক্ষভাবে আপত্তি জানায় প্রধানমন্ত্রীর ২৭ মার্চের বাংলাদেশের কর্মসূচিতে। সেই দিনের কর্মসূচি বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের সম্পর্কিত ছিল না, বাংলার নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সেদিন নিজের কর্মসূচি করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, তাই সেটি আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, এর আগে ভারতের কোন প্রধানমন্ত্রী এইভাবে অনৈতিক এবং অসাংবিধানিক পদক্ষেপ করেননি এবং এইভাবে নির্বাচনী আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন করেননি। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *