কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গ সফরে এসেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎ প্রকাশ নাড্ডা। তাঁকে নিয়েই এখন কার্যত সরগরম বঙ্গ রাজনীতি। একদিকে যখন গেরুয়া শিবির মেতে আছে ‘বাংলার জামাই’কে নিয়ে অন্যদিকে তেমনই জে পি নাড্ডার বিরুদ্ধে একের পর এক আক্রমণ শানাচ্ছেন তৃণমূল নেতৃত্বও। আর এই আক্রমণেরই অন্যতম কান্ডারি আছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এ রাজ্যে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম প্রধান অভিযোগ হল বাংলার শিক্ষা সংস্কৃতি ঐতিহ্যের অজ্ঞানতা। এদিন সেই অভিযোগকেই আরো একবার হাতিয়ার করেছেন মমতা৷ শনিবার নদীয়ার নবদ্বীপের জনসভা থেকে প্রকাশ্যে স্বামী বিবেকানন্দকে ‘বিবেকানন্দ ঠাকুর’ বলে বসেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। এদিন জে পি নাড্ডার করা সেই মন্তব্যকেই তীব্র কটাক্ষ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেছেন, “স্বামী বিবেকানন্দকে বলে যাচ্ছে বিবেকানন্দ ঠাকুর। মানে তাঁর উপাধি নাকি ঠাকুর! রবীন্দ্রনাথের উপাধি বিবেকানন্দকে লাগিয়ে দিয়েছে।” চৈতন্যদেবের নামেও জে পি নাড্ডা “ভুলভাল” কথা বলে গিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
শনিবারের বেফাঁস মন্তব্যের সূত্র ধরে এদিন বিজেপির বিরুদ্ধে পূর্ব প্রসঙ্গও টেনে এনেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙেছে। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্য কিছু করা তো দূরের কথা, আজ পর্যন্ত মানুষ জানতে পারল না যে নেতাজির মৃত্যুদিবস কবে।” এখানেই শেষ নয়, হিন্দুত্বের বুলি আওড়ানো কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃবৃন্দ আদেও কখনো দুর্গাপুজো, কালীপুজো, লক্ষ্মীপুজো, সরস্বতীপুজো করেনি বলেও জানিয়েছেন তিনি। তাঁর প্রশ্ন, “বিজেপি কীসের হিন্দু?” হিন্দু ধর্মের নামে কুৎসা করে বেড়াচ্ছে বিজেপি, বলেন তিনি। প্রতিবেশী ত্রিপুরা বিজেপিকে ক্ষমতায় এনে ভুল করেছে বলেই মনে করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “আজ ত্রিপুরা কাঁদছে। একটা কথাও কাউকে বলতে দেয় না। শুধু ধরে ধরে পেটাচ্ছে।”