নিজস্ব প্রতিনিধি, বারুইপুর: বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে বিজেপি জেলা নেতৃত্বের সামনেই মহিলা মোর্চার কর্মীদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ। অভিযোগে ধৃত বিজেপির দক্ষিণ ২৪ পরগনার পূর্ব জেলা সম্পাদক স্বরুপ দত্তকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল বারুইপুর আদালত।
বিজেপি সূত্রে খবর, ২৭ সেপ্টেম্বর বিকেলে বারুইপুরে বিজেপি দলীয় কার্যালয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা কার্যকারী বৈঠক করে চলে যাওয়া পর বিজেপি কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক মারামারি ও গণ্ডগোলের ঘটনা ঘটে৷ ঘটনায় আহত হন বেশ কয়েকজন। যাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে প্রথম ভর্তি করানো হয়৷ তারপর সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতা চিত্তরঞ্জন মেডিক্যাল হাসপাতালে।
বিজেপির নতুন সংগঠনের কমিটি নিয়ে শুরু হয়ে বৈঠক। আর বৈঠক ঘিরেই ঘনিয়ে ওঠে গণ্ডগোল। মহিলা কর্মীদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। বিজেপির দাবি, বিজেপির একাংশ বিজেপি পার্টি অফিসে ঢুকে এই গণ্ডগোল শুরু করে ফলে সংঘর্ষ বেঁধে যায়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশবাহিনী। পুলিশ তৎপরতার সাথে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিষয়টিতে বিজেপির মহিলা মোর্চার পক্ষ থেকে সুস্মিতা ঘোষ বারুইপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন৷ তাঁর অভিযোগ, মহিলা মোর্চা কর্মীদের শাড়ি টেনে হেনস্থা করা হয়েছে৷ অভিযোগে উঠে আসে বিজেপি জেলা সম্পাদক স্বরূপ দত্ত ও বিজেপির মণ্ডল সভাপতি দেবোপম চট্রোপাধ্যায়ের নাম। অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ তদন্তে নেমে বুধবার বিজেপির জেলা সম্পাদক স্বরূপ দত্তকে গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার দুপুরে বারুইপুর থানার পুলিশ বিজেপির জেলা সম্পাদক স্বরূপ দত্তকে বারুইপুর আদালতে তোলে। এ বিষয়ে বিজেপির জেলা সম্পাদক স্বরূপ দত্ত কোন মন্তব্য করেনি।
এদিকে এই ঘটনাকে হাতিয়ার করে আসরে নেমেছে বিরোধীরা। গেরুয়া শিবিরকে খোঁচা দিতে ছাড়ছে না তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে জেলায় নিজেদের অবস্থান পাকা করতে গেলে বারবার এভাবে দলীয় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ার বিষয়টিকে এড়িয়ে চলার পরামর্শই দিচ্ছে রাজনৈতিক মহল। বিষয়টি নিয়ে বেশ অস্বস্তিতে জেলার গেরুয়া শিবির।