ভগবানপু: টানা ১২ ঘণ্টা বিজেপি কর্মীর বাড়ির সামনে পড়ে রইল মৃতদেহ। শনিবার, ভাইফোঁটার রাতে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়েছিল বিজেপি কর্মী চন্দন মাইতি (৩৭) ওরফে শম্ভুকে৷ তমলুক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়। রবিবার মোমবাতি মিছিল করে মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে আসেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা।
রবিবার রাতে মৃত বিজেপি কর্মীর স্ত্রী লক্ষ্মীরানী মাইতি ভগবানপুর থানা এলাকার তৃণমূল নেতা সহ ৩৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এরপর নাটকীয় মোড় নেয় গোটা এলাকা। এলাকার স্থানীয় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের দাবি, যতক্ষণ পর্যন্ত পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করছে, ততক্ষণ মৃতদেহ পোড়ানো যাবে না। এনিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে এলাকার স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বরা। আর মৃতদেহ বাড়ির সামনে পড়ে রয়েছে। ভগবানপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী-সহ একাধিক জেলা পুলিশ আধিকারিকরা রয়েছেন।
এদিকে আবার পূর্ব মেদিনীপুর বিজেপি জেলা নেতৃত্ব পক্ষ থেকে সোমবার সকাল ৮ থেকে ৪টা পর্যন্ত ভগবানপুরে বিস্তীর্ণ এলাকা বনধে ডাক দিয়েছে। যদিও সেই বনধ কার্যত প্রভাব পড়েনি। খোলা রয়েছে একাধিক বাজার, অফিস, ব্যাংক। বাস ও ট্রেকার চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
এলাকার বিজেপি নেতা দেবব্রত কর বলেন, “ভগবানপুরে কিছু এলাকায় এখনও বনধ হচ্ছে। মৃত বিজেপি কর্মীর স্ত্রী ভগবানপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে হবে। দোষীদের শাস্তি প্রদানের ব্যবস্থা নিতে হবে৷ বিজেপি বিশেষ সূত্র মারফত জানাগেছে, মঙ্গলবার ভগবানপুরে মহাম্মদপুর এলাকায় মৃত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে আসতে পারেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও৷ এছাড়াও একাধিক রাজ্য নেতৃত্বরা।