কলকাতা: ফের ভোট৷ ফের টাকার বিনিময়ে প্রার্থী পদ বিক্রির গুরুতর অভিযোগ৷ ক’দিন আগেই বিধানসভা ভোটের প্রসঙ্গ টেনে টাকা লেনদেন গুরুতর অভিযোগ সামনে এনেছিলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায়৷ এবার বিজেপির বিরুদ্ধে প্রার্থী পদ পিছু লাখ টাকা নেওয়ার গুরুতর অভিযোগ সামনে আনল তৃণমূল৷ তৃণমূলের দলীয় টুইটার হ্যান্ডেল থেকেও একটি ভিডিও ক্লিপিংস সামনে আনা হয়েছে৷ ভাইরাল হয়ে যাওয়া ওই ভিডিও নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্কও৷ গেরুয়া শিবির বিষয়টিতকে গুরুত্ব দিতে না চাইলেও ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি সামনে এনেছেন তৃণমূলের অন্যতম শীর্ষ নেতা কুণাল ঘোষ৷
ভাইরাল হওয়া ভিডিওর-সত্যতা ‘আজ বিকেল’ অবশ্য যাচাই করেনি৷ তাতে দেখা যাচ্ছে, প্রীতম নামে এক ব্যক্তি নিজেকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের ঘনিষ্ট হিসেবে দাবি করে অপর ব্যক্তিকে বলছেন, ১২ জন প্রার্থীর জন্য এক লাখ করে টাকা লাগবে৷ বিনিময়ে দেওয়া হবে ভাল আসন৷ এমনকি তৃণমূলের সঙ্গে ‘সমঝতা’ করে ভোট বৈতরণী পার করার প্রতিশ্রুতিও শোনা যাচ্ছে৷ ভিডিওর সঙ্গে নিজের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে পার্থবাবু লিখেছেন, ‘‘BJP শিবিরে জোরদার প্রার্থীর বড্ড অভাব। সেই কারণেই গণতন্ত্রকে এক লাখ টাকায় বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে প্রার্থী প্রতি মূল্য এক লাখ টাকা। যে দলকে আপামর বাংলার মানুষ নির্বাচনে বাতিল করেছে, তাদের পক্ষে এই বিষয়টি অত্যন্ত লজ্জাজনক। আবারও মানুষের রায়ে পরাস্ত হবে এই দল।’’
যদিও তৃণমূলের আনা এমনন বিস্ফোরক অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার৷ তিনি বলেন, ‘‘পাগলে কিনা বলে, ছাগলে কিনা খায়! সবটাই সাজানো! আমরা প্রার্থীপদের জন্য টাকা নিলে তো আমার বাড়ি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চেয়ে বড় হত!’’ স্বভাবতই, বিতর্কের জল শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় সেদিকেই নজর রাখছে সব মহল৷