আজ বিকেল: পঞ্চম দফার ভোটে শতাংশের হারের দেশরে মধ্যে লিড করছে বাংলা। সামনেই ষষ্ঠ দফার ভোট তারই প্রস্তুতিতে নেমে পড়েছে শাসক ও বিরোধী দলগুলি। ফনির দাপটে কয়েকদিনের জন্য প্রচার সমাবেশ বন্ধ থাকলেও সোমবার থেকে ফের জোরকদমে শেষ মুহূর্তের প্রচারে জান লড়িয়ে দিচ্ছেন প্রার্থী ও রাজনৈতিক নেতৃত্বরা। সোমবার ঝাড়গ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়ে বিজেপিকে একহাত নেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ সেই ঝাড়গ্রামেই ছিল বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিতশাহর সমাবেশ। লোকজন বৈশাখের গরমে যাতে অসুস্থ না হয়ে পড়ে সেজন্য বিজেপির তরফে ব্য়বস্থাপনার ত্রুটি রাখা হয়নি। তবে লাভের লাভ কিছুই হল না।ষষ্ঠ দফার ভোটের আগে ঝাড়গ্রামের সমাবেশে সমর্থক খুঁজে পেলেন না অমিত শাহ। প্রায় খাঁ খাঁ ময়দানে গালভরা বক্তব্য রাখতে গিয়ে মাঝেমাঝেই হোঁচট খাচ্ছিলেন তিনি।
এদিকে অমিত শাহর আগেই মঞ্চে দাঁড়িয়ে একবার জেগে ওঠার চেষ্টা করেন বিজেপির প্রার্থী ভারতী ঘোষ। প্রথমেই তৃণমূলকে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, অক্সিজেন ছাড়া তো কেউ বাঁচতে পারে না। পুলিশ হল তৃণমূলের অক্সিজেন। পুলিশকে মুঠোতে রেখে তৃণমূল সবকিছু করে। একবার পুলিশ সরে যাক, তৃণমূল শেষ। এই কথার মধ্যেই ভারতী ঘোষের পূর্বতন ইমেজের প্রকৃত সত্য লুকিয়ে আছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। যতদিন ঝাড়গ্রামের আইপিএস পদে ছিলেন ততদিন ভারতীই ছিলেন বকলমে এখানকার তৃণমূলের সর্বেসর্বা। কোথায় কখন দলের বৈঠক হবে, কারা আসবেন সব নিয়ন্ত্রণ করতেন তিনি। মমতাকে জঙ্গল মহলের মা বলেছিলেন এই ভারতী ঘোষই। যাইহোক সেসব এখন অতীত, পারলে মমতা ভারতী পরস্পর পরস্পরকে রাজনৈতিক আক্রমণ করতে পিছপা হন না। কিন্তু আজ জনসভায় যে পুলিশের প্রকৃত উদাহরণটা ভারতী দিলেন নিজের অতীত কার্যকলাপকে মনে করে সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। সিপিএম, কংগ্রেসের াবি, তাদের অনেক সমর্থককেই মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে জেলের ঘানি টানতে বাধ্য করেছেন ভারতী। আর তৃণমূল বলছে, জনসভায় যারা মাছি তাড়ায়, তারা কি না ক্ষমতায় আসবে, দিবাস্বপ্ন আর কি।