কলকাতা: মালদায় তৃণমূলের ১৪ জেলা পরিষদ সদস্য বিজেপিতে যোগদান করলেন আজ। পাশাপাশি পদ্ম শিবিরে একইদিনে নাম লিখিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের ৪ বিধায়ক! এই ঘটনা ঘটিয়ে বিজেপি দাবি করছে, আসন্ন ভোটের আগেই মালদহ ‘দখল’ করে ফেলেছে তারা। এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষেরা দাবি করছেন, মালদা জেলা পরিষদ বিজেপির দখলে। মালদা জেলা পরিষদে বিজেপির সদস্য সংখ্যা ৩৮-এর মধ্যে ২৩ জন। প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী বিদ্রোহের একের পর এক এমন ছবি সামনে এসেছে যে দেখা গিয়েছিল, মালদহে শাসকদলের পরিস্থিতি বিশেষ সুবিধাজনক নয়। শোনা গিয়েছিল, মালদহ জেলা পরিষদের ১৫ জন সদস্য বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পথে পা বাড়িয়েছেন। অবশেষে হল তাই।
এদিন রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য বিজেপিতে যোগ দিয়ে বলেন, তার পুরোনো দল এখন পরিবার গত হয়ে গেছে। স্বামী-স্ত্রী পাশাপাশি দুটো কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হয়েছে। যদিও বিজেপির টিকিটে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করবেন কিনা সে ব্যাপারে কোনরকম ইঙ্গিত দিলেন না তিনি। জানালেন দল যা সিদ্ধান্ত নেবে তাই হবে। অন্যদিকে দীপেন্দু বিশ্বাস জানিয়েছেন, তিনি পারফরম্যান্সে বিশ্বাস করেন। গত চারটি নির্বাচনে দলকে জেতানোর পরেও তাঁকে কেন টিকিট দেওয়া হল না তিনি জানেন না। তাই এখন তিনি যা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেই অনুযায়ী কাজ করবেন। অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যেমন দাবি করেছেন যে তিনি আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের গোলকিপার, সেই প্রেক্ষিতে দিব্যেন্দুর বিজেপিতে যোগ দিয়েই কটাক্ষ, তিনি স্ট্রাইকার!
আরও পড়ুন: বিজেপিতেই গেলেন সোনালী, সরলা, রবীন্দ্রনাথ! নতুন তারকা সদস্য তনুশ্রী
এদিকে সরলা মুর্মু জানাচ্ছেন, তাঁর এলাকায় শুরু পোস্ট দেওয়া হয় কিন্তু কোন কাজ করতে দেওয়া হয় না। সেখানকার নেতারা কাজ করতে বাধা দেয়। এখন সেই এলাকায় যত ভালো তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী এবং সদস্য ছিল প্রত্যেকেই এখন বিজেপিতে যোগদান করেছে। অন্যদিকে জটু লাহিড়ীর কটাক্ষ, তৃণমূল কংগ্রেস বাংলায় কোনো রকম উন্নয়নের কাজ করেনি। এদিন কলকাতার হেস্টিংসের রাজ্য বিজেপির প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ, সব্যসাচী দত্ত, মুকুল রায়, অর্জুন সিংয়ের উপস্থিতিতে এরা সকলে বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নেন।