গোসাবা: খড়দহ, গোসাবা, শান্তিপুর এবং দিনহাটায় শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। আপাতত শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চললেও গোসাবার বিজেপি প্রার্থীকে নিয়ে উত্তেজনা চড়েছে। ভোটের আগের রাতে এলাকায় লিফলেট বিলির অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। গোসাবার বিজেপি প্রার্থী পলাশ রানার বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। অন্যদিকে, দিনহাটায় তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে এলাকায় বোমাবাজির অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। সেই নিয়ে গতকাল রাত থেকেই উত্তেজনা সেখানে। পাশাপাশি জানা গিয়েছে, শান্তিপুর বিধানসভার গোবিন্দপুর মাহিষ্য পাড়ার ৪০ নম্বর বুথে ইভিএম বিকল হয় কিছুক্ষণের জন্য। প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১০০ শতাংশ বুথেই রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। দিনহাটায় ২৪ কোম্পানি, শান্তিপুরে ১৯ কোম্পানি, খড়দহে ১৭ কোম্পানি ও গোসাবায় ২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
বিধানসভা নির্বাচনে খড়দহ এবং গোসাবা আসলে জিতেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। বাকি দুই কেন্দ্রে জিতেছিল বিজেপি। অর্থাৎ বিধানসভা নির্বাচনের ফল অনুযায়ী আপাতত ২-২ হিসেবে দাঁড়িয়ে রয়েছে। তবে এই উপ নির্বাচনের পর দুই রাজনৈতিক দলের স্কোর কী হয়, তাই দেখার। খড়দহ এবং গোসাবা আসনের প্রার্থী যথাক্রমে কাজল সিনহা এবং জয়ন্ত নস্কর নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন কিন্তু ফল প্রকাশের সময় মৃত্যু হয় দুজনের। অন্যদিকে দিনহাটা এবং শান্তিপুরে বিজেপির প্রার্থী, নিশীথ প্রামানিক এবং জগন্নাথ সরকার জয়ী হলেও তারা দু’জনেই বিধায়ক পদ ছেড়ে সাংসদ পদে থেকে যান। এই কারণেই আজ ৪ কেন্দ্রে নির্বাচন সংঘটিত হয়েছে।
আগামী ২ নভেম্বর এই নির্বাচনের ফল ঘোষণা। বিধানসভা নির্বাচন এবং আজকের উপনির্বাচনের মধ্যে অনেক দল বদল ঘটে গিয়েছে দুই দলের মধ্যে। একাধিক বিধায়ক এবং নেতা বিজেপি ছেড়ে যোগ দিয়েছেন ঘাসফুল শিবিরে। তাই অনেকেই মনে করছেন, বিধানসভায় যে ফল হয়েছিল সেই ফল এই উপনির্বাচনে হয়তো হুবহু মিলবে না।