কলকাতা: অনেকেরই অনুমান ছিল আজ তিন দলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হবে এবং আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের উত্তাপ আরো বেড়ে যাবে। তৃণমূল কংগ্রেস পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে, বাম কংগ্রেসরাও জোট প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা করেছে আংশিকভাবে। কিন্তু কথামতো বিজেপি নিজের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করল না। জানা গিয়েছে আগামী রবিবার প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী ব্রিগেডে আসবেন, সেই সবার পরে তালিকা প্রকাশ করবে ভারতীয় জনতা পার্টি শিবির। কেনো হঠাৎ এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও তা নিয়ে ইতিমধ্যেই জলঘোলা শুরু হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন- প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হতেই বিদ্রোহ তৃণমূলের অন্দরে, কারও চোখে জল
বিজেপি সূত্রে জানানো হয়েছে, একেকটি আসনের জন্য একাধিক প্রার্থীর তালিকা প্রস্তুত হয়েছে। সেই কারণে একটা দ্বন্দ্ব কাজ করছে অবশ্য ভাবে। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ব্রিগেড সভার জন্য কর্মীরা ব্যস্ত। এর মধ্যে যদি প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয় তাহলে মনোমালিন্যের ব্যাপার ঘটে যেতে পারে অনেকের মধ্যে। সেই কারণে ব্রিগেডের সভা যাতে কোনরকম বিঘ্ন না ঘটে তাই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করছে না বিজেপি। তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা, আজ তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকা দেখার পর নিজেদের সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে এসেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। কারণ ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে যে বেশ কয়েকজন সম্ভাব্য প্রার্থীরা টিকিট পাননি। অনেকে দলের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাই এই বিক্ষুব্ধ তৃণমূলীদের নিয়ে হয়তো আলাদা করে ভাবছে বিজেপি। এক কথায়, প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করার আগে আরও একবার দলবদল নিয়ে চর্চা চলছে তাদের। তবে কারণ যাই হোক, বিজেপির প্রার্থী তালিকা নিয়ে কৌতুহল যে আরো বাড়লো তাতে কোন সন্দেহ নেই।
আরও পড়ুন- টিকিট না পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন সোনালী, গলা ধরে এল আরাবুলের
উল্লেখ্য, তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পর প্রচণ্ড ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আরাবুল ইসলাম থেকে শুরু করে সোনালী গুহ। বিস্ফোরক ফেসবুক পোস্ট করে আরাবুল লিখেছেন, দলে আর তার প্রয়োজন নেই। অন্যদিকে, এক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাত্কার দিতে গিয়ে হাউ হাউ করে কেঁদে ফেলেছেন সোনালী গুহ। তালিকা প্রকাশের পর জায়গায় জায়গায় খানিকটা বিক্ষোভ প্রদর্শিত হয়েছে ঘাসফুল শিবিরের বিরুদ্ধে। তাই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, তালিকা প্রকাশের আগে এই বিষয়গুলোকে একটু খেয়াল রাখতে চাইছে ভারতীয় জনতা পার্টি শিবির।