কোচবিহার: ঘোড়া কেনাবেচার অভিযোগ বহুদিন আগে থেকেই উঠে আসছে বিজেপির বিরুদ্ধে। মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র সহ একাধিক রাজ্যে এই অভিযোগে শোরগোল পড়েছে। এবার কার্যত এই একই অভিযোগ তুলে বিজেপির পর্দা ফাঁস করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোচবিহারের জনসভায় দাঁড়িয়ে বক্তৃতা দিয়ে তিনি দাবি করলেন, তৃণমূলের বেশ কয়েকজন নেতা এবং সাংসদকে ফোন করছে বিজেপি। ফোন করে বলছে বৈঠকে বসতে চায়। এই প্রসঙ্গেই গেরুয়া শিবিরকে তুলোধনা করলেন তিনি।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিজেপির সামান্যটুকু ভদ্রতা, সৌজন্যতা বা লজ্জা নেই। পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সুব্রত বক্সীকে ফোন করছে, ওদিকে বীরভূমের অনুব্রত মণ্ডলকে ফোন করে বলছে বৈঠক করবে। মমতার কথায়, বিজেপির ভয়ঙ্কর একটা দল যাদের ন্যূনতম লজ্জা নেই তাই এইভাবে বারবার ফোন করে বৈঠক করতে চাইছে! এ প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ইতিমধ্যেই অনুব্রত মণ্ডল সরাসরি বিজেপি কে বলে দিয়েছে সে তাদের সঙ্গে কোনো ভাবে বৈঠকে বসবে না কারণ সে তৃণমূল কংগ্রেস করে, কারণ সে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল করে। এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বিজেপির পুরনো প্রতিশ্রুতির কথা তুলে আনেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মনে করিয়ে দেন, লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি দাবি করেছিল সবার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা করে দেবে। কিন্তু নির্বাচনের পরে সেই সব প্রতিশ্রুতি হাওয়া হয়ে গেছে, এখন তাই কোচবিহারবাসীকে তিনি অনুরোধ জানাচ্ছেন বিজেপিকেই হাওয়া করে দিতে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরো বলেন, নির্বাচনের আগে বিজেপি যে প্রতিশ্রুতি দেয় তা পুরোটাই ভাঁওতাবাজি। নির্বাচনের আগে বলবে চাকরি দেব, কিন্তু নির্বাচনের পরে তাদের আর দেখতে পাওয়া যাবে না। এই মন্তব্য করে তিনি যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির চাকরির প্রতিশ্রুতির কথা বলেছেন তা বলাই বাহুল্য। বঙ্গ বিজেপি শিবির দাবি করেছে, নির্বাচনে জিতলে বাংলায় ৭৫ লক্ষ চাকরি দেবে। সেই প্রতিশ্রুতি প্রসঙ্গেই আক্রমণ করে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার স্পষ্ট কথা, প্রতিশ্রুতি বলে কিছুই হয় না, বিজেপির প্রতিশ্রুতি মানেই চিটিংবাজি। এর পাশাপাশি বছরে ২ কোটি চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতির কথা বলেও বিজেপিকে আক্রমণ করেন তিনি। সকলকে মনে করিয়ে দেন, নির্বাচনের আগে এই রকম বহু প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিজেপি, কোনটাই তারা রাখেনি।