কলকাতা: বাংলা বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির শোচনীয়’ হারের পর তারকা প্রার্থীদের একহাত নিয়েছিলেন বিজেপি নেতা তথাগত রায়। মূলত তিনি নিশানায় নিয়েছিলেন বেহালা পূর্ব এবং পশ্চিমের তারকা প্রার্থী যথাক্রমে পায়েল সরকার এবং শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়কে। একইসঙ্গে আক্রমণ করেছিলেন অন্য এক তারকা প্রার্থী তনুশ্রী চক্রবর্তীকে। আসলে এরা সকলেই ভোটের আগে দোলের উৎসব এর তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মদন মিত্রের সঙ্গে নৌকাবিহারে গিয়েছিলেন। সেই প্রেক্ষিতে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন তথাগত রায়। এবার তার জন্যই তাকে দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হল বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে। এমনটা তিনি নিজেই জানিয়েছেন টুইট করে।
তথাগত রায় লিখেছেন, “দলের শীর্ষ নেতৃত্ব আমাকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দিল্লি আসতে বলেছে। এটা একটা সাধারণ ইনফর্মেশন”। তথাগত টুইট করে বলেছিলেন, “পায়েল, শ্রাবন্তী, তনুশ্রী ইত্যাদি নগরীর নটীরা নির্বাচনের টাকা নিয়ে কেলি করে বেরিয়েছেন আর মদন মিত্রের সঙ্গে নৌকা বিলাসে গিয়ে সেলফি তুলেছেন (এবং হেরে ভূত হয়েছেন) তাদেরকে টিকিট দিয়েছিল কে? কেনই বা দিয়েছিল? দিলীপ, কৈলাস, শিবপ্রকাশ, অরবিন্দ প্রভুরা একটু আলোকপাত করবেন কি?” মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই সমালোচনায় সরব হয়েছেন একাধিক মানুষ। তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মদন মিত্র এই ব্যাপারে তথাগত রায়কে এক হাত নিয়ে বলেছেন, দল তাঁকে টিকিট পায়নি তাই তিনি প্রথম থেকেই বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছিলেন। এখন তিনি আরও বেশি হতাশ নৌকাবিহারে যেতে পারেননি বলে। তবে পরের বার এই ধরনের নৌকাবিহার হলে তিনি তাঁকে অবশ্যই ডাকবেন বলে জানিয়েছেন মদন মিত্র।
ইতিমধ্যেই প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, পায়েল সরকার, তনুশ্রী চক্রবর্তী। তনুশ্রী বলেন, ”জনসমক্ষে এই ধরনের মন্তব্য করে তথাগত রায় আমাদের তিনজনের অপমান করেছেন। দলের কর্মী হিসেবে আমি নিশ্চিতভাবে দলের নেতাদের সঙ্গে এই ব্যাপারে আলোচনা করবো কারণ আমি এখনো বিশ্বাস করি যে আমার দল নিয়মে বিশ্বাস করে”। পায়েল মন্তব্য করেছিলেন যে, আপনিও কিন্তু একদিনে রাজনীতিবিদ হয়ে যাননি। কেউ একদিনে রাজনীতিবিদ হয়ে যায় না। নিজের প্রার্থী হিসেবে পারফরম্যান্স নিয়ে মন্তব্য করে পায়েল এটাও জানান, অভিনয়ে তার পেশা হলে রাজনীতি হল নেশা, তিনি যে তার জন্য যতটা পেরেছেন ততটা চেষ্টা করেছেন।
