জামবুনি: বিগত কয়েক সপ্তাহে একাধিক তৃণমূল বিধায়ক এবং কর্মী দল ত্যাগ করেছেন। উল্লেখযোগ্য ব্যাপার সকলেই গেছেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে। দলবদলের এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেস যে চাপে রয়েছে তা অস্বীকার করা যায় না। কিন্তু ভাঙবো তবু মচকাবো না ঢঙেই এদিন বোলপুর থেকে ফের একবার বিজেপিকে নিশানা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলবদলের প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি স্পষ্ট বললেন, তৃণমূলের পচা বিধায়কদের কিনছে বিজেপি। কিন্তু এতে তাদের কোনো সমস্যা হবে না।
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, তৃণমূলের পচা-ধচা বিধায়কদের কিনছে বিজেপি। কিন্তু এতে যেমন দলের কোন সমস্যা নেই, তেমনি তাদেরও কোনো সমস্যা হবে না। কারণ তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা আসল সম্পদ, এমনটাই ব্যাখ্যা দেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বক্তৃতায় কারোর নাম নেননি ঠিকই, কিন্তু তিনি আদতে কার উদ্দেশ্যে এই মন্তব্য করেছেন তা মূলত সবার কাছেই পরিষ্কার। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, পরোক্ষভাবে সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ শানিয়েছেন মমতা। কারণ গেরুয়া শিবিরের নাম লেখানো পর থেকেই একের পর এক রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে আসছেন তিনি। এদিন নন্দীগ্রামের সভা মঞ্চ থেকেও রাজ্যের শাসক দলকে নিশানা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
টাকা দিয়ে বিধায়কদের কিনছে বিজেপি এমন অভিযোগের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকেও আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি স্পষ্ট দাবি করেন, ভোটের জন্য টাকা বিলি করা হচ্ছে। বিজেপির ঝান্ডা ধরেছে এজেন্সিগুলো। একইসঙ্গে বিশ্বভারতী এবং নোবেলজয়ী বাঙালি অর্থনীতিবীদ অমর্ত্য সেনকে নিয়ে কুৎসা রটানোর জন্য বিজেপিকে একহাত নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্পষ্ট কথা, বিজেপি যে সোনার বাংলা গঠনের কথা বলছে সেই নতুন সোনার বাংলা কারোর দরকার নেই। রবীন্দ্রনাথ যেদিন লিখেছিলেন ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’, সেদিনই বাংলা সোনার হয়ে গিয়েছে। নতুন করে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখানোর কোন দরকার নেই বিজেপির, মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর।