থানা ঘেরোও করার ‘সাজা’!  বিজেপির বুথ সভাপতিকে খুঁটিতে বেঁধে মারধর

থানা ঘেরোও করার ‘সাজা’!  বিজেপির বুথ সভাপতিকে খুঁটিতে বেঁধে মারধর

নিজস্ব প্রতিনিধি, বোলপুর: বুধবার রাজ্য বিজেপির কর্মসূচির আওতায় গোটা রাজ্যজুড়ে থানাগুলিতে স্মারকলিপি জমা দেওয়ার কর্মসূচি নেয় বিজেপি। সেই কর্মসূচির আওতায় বীরভূমের সিরসা গ্রাম থেকে স্মারকলিপি মিছিলে ছিলেন এলাকায় বিজেপির বিথ সভাপতি শেখ মোজাম। বৃহস্পতিবার হঠাৎই তার ওপর চড়াও হয় একদল দুষ্কৃতী। তাঁকে ব্যাপক মারধর করা হয়, এমনকি ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার ওপর আঘাতও করা হয় বলে অভিযোগ। গ্রামের লোকেরা তাকে ইদ্ধার করে এবং বোলপুরে মহকুমা হাসপাতালে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়।

ঘটনায় তৃণমূল আশ্রিত দুষকৃতীদের হাত রয়েছে বলেই অভিযোগ উঠেছে। শেখ মোজাম জানিয়েছেন তিনি বাজার থেকে ফেরার পথে তার ওপর চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। ছ সাতজন দুষ্কৃতী মিলে গ্রামে ঢোকার মুখে তাকে ঘিরে ধরে। মারধর করে তার ওপর ছুরি চালানো হয়। ছুটে পালাতে গেলে তাকে ধরে ফেলে একটি ইলেকট্রিকের খুঁটিতে বেঁধে প্রবল মারা হয়। স্মারকলিপি জমা দেওয়ার মিছিলে যোগ দেওয়াতেই এই শাস্তি বলে তিনি মনে করছেন। পুলিশ তাঁর বাড়িতে কোনও খবর নিতে যায়নি বলেও অভিযোগ করেন শেখ মোজাম।

যদিও ঘটনার কথা পুরোপুরি অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তৃণমূল কংগ্রেসের ইলামবাজার পঞ্চায়েতের ব্লক সভাপতি ফজরুল রহমান বলেন গোটা বিষয়টি একটি পারিবারিক বিবাদের ব্যাপার। তাঁর দাবি কিছু ছেলেকে বিজেপি পয়সা দিয়ে এগুলো করাচ্ছে যাতে দলের বদনাম হয়। তিনি বলেন ইলামবাজারে বিজেপির কোনও অস্তিত্ব নেই, প্রচারের আলোয় আসার জন্য এই চেষ্টা করছে বিজেপি।

তিনি এদিন আরও বলেন তৃণমূল কংগ্রেস হিংসার রাজনীতি করে না। এদিকে নির্বাচন যত এগোচ্ছে ততই হিংসার ঘটনা বাড়ছে। গ্রামে শাসক ও বিরোধীদের সঙ্ঘাত শুরু হয়েছে। সিরসার ঘটনাও তারই একটি বলে মনে করা হচ্ছে। নির্বাচনী পর্বে এলাকার দখল বাড়াতে যেমন চেষ্টা চালাবে শাসকদল, তেমনই মাটি কামড়ে পড়ে থাকবে বিরোধীরা। ফলে বিজেপির যেকোনও বড় কর্মসূচির পর এমন ঘটনা ঘটতেই থাকবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *