কলকাতা: ১ মে থেকে গোটা দেশজুড়ে ১৮ বছরের উর্ধ্বে যাদের বয়স তাদের ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই ঘোষণার পর বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন, ২ তারিখ যেহেতু ভোটের ফল প্রকাশ হয়েছে তাই বাংলায় ৫ মে থেকে ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে এবং তা বিনামূল্যে দেবে রাজ্য সরকার। এবার এই ভ্যাকসিন নিয়ে একই প্রতিশ্রুতি দিল ভারতীয় জনতা পার্টি। ঘোষণা করা হল, পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় আসার সঙ্গে সঙ্গে করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন প্রত্যেককে বিনামূল্যে দেবে বিজেপি।
এদিন ভারতীয় জনতা পার্টি শিবিরের ফেসবুক পেজে এই প্রেক্ষিতে একটি পোস্ট দেওয়া হয়। যেখানে স্পষ্ট ঘোষণা করা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার সঙ্গে সঙ্গে করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন প্রত্যেককে বিনামূল্যে সরবরাহ করা হবে। তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার, বিহারের নির্বাচনের ফল প্রকাশের আগেও বিজেপি একই রকম প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু আপাতত বিহারে এই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এবার বাংলায় সেই একই প্রতিশ্রুতি দিলেও ভারতীয় জনতা পার্টি শিবির। এদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন বিনামূল্যে দেওয়ার কথা ঘোষণা করতেই আক্রমণের উপর আক্রমণ শুরু হয়েছে পদ্ম শিবিরের তরফ থেকে। দাবি করা হচ্ছে, ২ তারিখের পর মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে থাকবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাহলে তিনি কীভাবে এই ঘোষণা করছেন! সব মিলিয়ে বিনামূল্যে করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্যও কার্যত দড়ি টানাটানি শুরু হয়ে গেছে তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপির মধ্যে ।
এদিকে আজ সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য দাবি করেছেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতি কাজে লাগিয়ে সাধারণ মানুষকে ভয় দেখাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়ে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাইছেন যাতে মানুষ ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে না পারে। একদিকে অন্য রাজ্য সাধারণ মানুষকে টিকা নিয়ে সচেতন করতে চাইছে এবং উৎসাহিত করছে, আর পশ্চিমবঙ্গের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করে আতঙ্কের পরিস্থিতি বজায় রাখতে চাইছেন। এই ক্ষেত্রে বিজেপি নেতা দাবি করছেন, শুধুমাত্র ভোট বৈতরণী পেরোতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করোনাভাইরাস পরিস্থিতিকে হাতিয়ার করতে চাইছেন।