নয়াদিল্লি: এয়ার ইন্ডিয়ার বেসরকারিকরণ নিয়ে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে দেশবিরোধীতার অভিযোগে আদালতের দ্বারস্থ হয়ে মাত্র কয়েক দিন আগেই বিতর্কে জড়িয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। তারপর আবারও তাঁর দল বিরোধিতা প্রকাশ্যে এসেছে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক শুরুতেই। দলের অন্তর্দর্শনেনের সময় এসেছে, এমনই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বিজেপির এই সাংসদ। আর তার ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই এই হুঁশিয়ারির মর্মার্থ হাড়ে হাড়ে টের পেলো দল।
আম আদমির ঝাড়ু ঝড়ে ধরাশায়ী গেরুয়া শিবিরের আস্ফালন। কারণ একা মোদি ম্যাজিকে একশো শতাংশ ভরসা করে দিল্লিতে কোনো মুখ্যমন্ত্রীর নামই ঘোষণা করেনি দল। মোদি সরকার দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর শেষ কয়েকটি বিধানসভা নির্বাচনে মধ্যপ্রদেশ,রাজস্থান, ছত্তিসগড়, মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ডের পরপর হাতছাড়া হওয়ার পর এবার দিল্লির বিধানসভা কেন্দ্রেও ক্ষমতা হারালো বিজেপি। ফলতঃ ২০১৯ থেকে বিগত ১২ মাসে দিল্লি সহ কার্যত ১২ টি রাজ্যে এখন বিজেপি বিরোধী সরকার।
Time for the BJP to start looking at our 2014-to date the party’s organisational culture. In many. States we had made promises we could not keep. Gorkhaland is top priority. Must make it a Union Territory as promised
— Subramanian Swamy (@Swamy39) February 11, 2020
সেক্ষেত্রে বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর হুঁশিয়ারি কিন্তু যথেষ্টই প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। দিন কয়েক আগে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের বাজেট নিয়েও তাঁর অস্বস্তি প্রকাশ্যে এসেছে। আর এরপরেই দলের বিরুদ্ধে সরব তাঁর টুইটারে দলের সাংগঠনিক সংস্কৃতি নিয়ে সরাসরি তোপ দেখেছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন ” ২০১৪- থেকে দলের সাংগঠনিক সংস্কৃতির দিকে দৃষ্টিপাত করার সময় এসেছে। অনেক রাজ্যেই আমরা প্রতিশ্রুতি পালনে ব্যর্থ হয়েছি। গোর্খাল্যান্ড হল সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এই অঞ্চলকে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল করতেই হবে।” এরপর ২০২১-এ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির মূল লক্ষ্য বাংলা দখল। সেখানে গোর্খাল্যান্ড একটি জোরদার ইস্যু, যেখানে দার্জিলিং পার্বত্য অঞ্চলের জন্য পৃথক রাজ্যের দাবিতে সোচ্চার আঞ্চলিক দলগুলি।