ফয়সলা চেয়ে এবার শাহী দরবারে BJP-র বিক্ষুব্ধ নেতারা

ফয়সলা চেয়ে এবার শাহী দরবারে BJP-র বিক্ষুব্ধ নেতারা

কলকাতা:  হুঁশিয়ারি এসেছে৷ এসেছে কড়া বার্তা৷ কিন্তু সব কিছু উপেক্ষা করে  শান্তনু ঠাকুর এটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে,  এখনই যে বঙ্গ বিজেপি’র অন্দরে বিক্ষোভের অবসান হচ্ছে না৷ এরই মধ্যে গতকালই রাজ্য নেতৃত্ব দুই শীর্ষনেতাকে শোকজ করতেই শাহী দরবারে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন বিজেপি’র বিদ্রোহী নেতারা৷ তেমনটাই সূত্রের খবর। সংসদের অধিবেশনের মাঝেই দিল্লি যাচ্ছেন তাঁরা৷ সেখানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বিজেপি’র সর্ব ভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার সঙ্গে দেখার করার সময় চেয়েছেন তাঁরা। ফলে বিজেপির অন্তর্কলহ যে ক্রমশ বড় আকার ধারণ করেছে, তা স্পষ্ট৷  

আরও পড়ুন- লালগড়ে বাঘাতঙ্ক! পর পর ৫ দিন মিলল খুবলানো পশুর দেহ

সোমবার জেপি নড্ডার কাছে আরও একবার চিঠি পাঠাচ্ছেন বিজেপির মণ্ডলস্তরের নেতাদের একাংশ। চিঠি পাঠানোর পরেই রাজধানীর বুকে নিজেদের দাবিদাওয়া নিয়ে হাজির হবেন বিজেপির বিক্ষুব্ধ নেতারা। জানা গিয়েছে, শাহী দরবারে পৌঁছেই  ক্ষমতাসীন রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে নালিশ ঠুকবেন তাঁরা৷ রবিবার গোবরডাঙায় দলের বিদ্রোহীদের নিয়ে বৈঠকের পাশাপাশি পিকনিক করেন বনগাঁর সাংসদ৷ সেখান থেকেই রাজ্যের সর্বত্র বিজেপি’র বিক্ষুব্ধদের এককাট্টা হওয়ার ডাক দিয়েছেন তিনি৷ বিক্ষুব্ধরা মিলিত হয়েই পাড়ি দেবেন দিল্লির পথে৷ 

একুশের নির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়ের পর থেকেই দলের ভাঙন অব্যাহত৷ এবার কার্যত গৃহযুদ্ধর আগুনে পুড়ছে রাজ্য বিজেপির অন্দরমহল৷ কলকাতায় পুরসভা নির্বাচনেও তারা ধরাশায়ী৷ এর পর নতুন কমিটি গঠন হতেই বিদ্রোহ চরমে ওঠে৷ অভিযোগ ওই কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন মতুয়া সহ তফশিলি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা৷ শুরু হয় পদ্মশিবিরের ডামাডোল৷ 

রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে ইতিমধ্যেই বহু নেতা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন৷ এর মধ্যে রয়েছেন বনগাঁর সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরও। সম্প্রতি কলকাতায় পোর্ট ট্রাস্টের গেস্ট হাউসে বিক্ষুব্ধদের নিয়ে বৈঠকও করেন তিনি৷ রবিবার বনগাঁর পিকনিকে উপস্থিত ছিলেন ৫ মতুয়া বিধায়ক–সহ জয়প্রকাশ মজুমদার, রীতেশ তিওয়ারির মতো রাজ্যে বিজেপি নেতাদের। শোকজের চিঠি পাওয়ার পরেই গতকাল বনগাঁয় যান জয়প্রকাশ। 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty − 16 =