দিনহাটা: চার কেন্দ্রের উপনির্বাচন ঘিরে ইতিমধ্যেই রাজ্যে উত্তাপ বাড়তে শুরু করেছে। সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট শুরু হলেও এখন বিক্ষিপ্তভাবে অশান্তির খবর সামনে আসছে। সকালেই গোসাবায় বিজেপি প্রার্থীকে ঘিরে উত্তেজনা শুরু হয়েছিল। এবার দিনহাটায় বসায় জড়াল বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেস। দিনহাটা হাইস্কুলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সামনেই তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে বিজেপি প্রার্থীর বচসা হয়। প্রায় হাতাহাতির পরিস্থিতি তৈরি হয়।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে তৃণমূল দাবি করছে, বুথের কাছে এসে উত্তেজনা তৈরির চেষ্টা করছেন বিজেপি প্রার্থী। বহিরাগতদের আনা হয়েছে। ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। যদিও এই অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেছেন বিজেপি প্রার্থী। উলটে তিনি তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে অশান্তি সৃষ্টি করার অভিযোগ এনেছেন। আগেই জানা গিয়েছিল যে, ভোটের আগের রাতে এলাকায় লিফলেট বিলির অভিযোগ উঠেছে গোসাবার বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে। গতকাল রাত থেকেই উত্তেজনা সেখানে। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১০০ শতাংশ বুথেই রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। দিনহাটায় ২৪ কোম্পানি, শান্তিপুরে ১৯ কোম্পানি, খড়দহে ১৭ কোম্পানি ও গোসাবায় ২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
বিধানসভা নির্বাচনে খড়দহ এবং গোসাবা আসলে জিতেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। বাকি দুই কেন্দ্রে জিতেছিল বিজেপি। অর্থাৎ বিধানসভা নির্বাচনের ফল অনুযায়ী আপাতত ২-২ হিসেবে দাঁড়িয়ে রয়েছে। তবে এই উপ নির্বাচনের পর দুই রাজনৈতিক দলের স্কোর কী হয়, তাই দেখার। খড়দহ এবং গোসাবা আসনের প্রার্থী যথাক্রমে কাজল সিনহা এবং জয়ন্ত নস্কর নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন কিন্তু ফল প্রকাশের সময় মৃত্যু হয় দুজনের। অন্যদিকে দিনহাটা এবং শান্তিপুরে বিজেপির প্রার্থী, নিশীথ প্রামানিক এবং জগন্নাথ সরকার জয়ী হলেও তারা দু’জনেই বিধায়ক পদ ছেড়ে সাংসদ পদে থেকে যান। এই কারণেই আজ ৪ কেন্দ্রে নির্বাচন সংঘটিত হয়েছে।