কলকাতা: আগামী বছর কোন মাসের মধ্যে কত দফায় পুরভোট চাইছে রাজ্য সেই ব্যাপারে আদালতে গতকাল হলফনামা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। জানানো হয়েছে, আগামী মে মাসের মধ্যে ভোট চাইছে রাজ্য সরকার। কিন্তু এই হলফনামা নিয়ে এখন বিরোধিতা করছে বিজেপি সহ বাকি দল। কারণ তাদের বক্তব্য, কমিশনের যুক্তি একেবারেই স্পষ্ট নয়।
বিজেপি পক্ষের আইনজীবী পিঙ্কি আনন্দ আজ জানান, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে যে হলফনামা জমা দেওয়া হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। কারণ নির্বাচন কমিশন যে করোনা পরিস্থিতির কথা জানিয়েছে তা অস্পষ্ট কারণ, করোনাকালীন পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই ইতি মধ্যেই কয়েকটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হয়েছে। এ রাজ্যেও বিধানসভা নির্বাচন হয়েছে। তাই রাজ্য নির্বাচন কমিশন সঠিক বলছেন না। পাশাপাশি, হলফনামায় রাজ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক, আইসিএসসি এবং সিবিএসসি পরীক্ষার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যা পুরসভা নির্বাচন না করতে একটা অজুহাত দেখিয়েছে কমিশন, বলে দাবি। এদিকে তিনি আরও জানান, রাজ্যের উৎসবের কথা বলা হয়েছে হলফনামায়। কিন্তু উৎসবের সঙ্গে নির্বাচনের কীসের সম্পর্ক তাদের জানা নেই। অন্যদিকে, হাওড়া জেলা বামফ্রন্টের পক্ষের আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় জানান, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দেওয়া হলফনামায় পরিস্কার করেননি যে তাঁরা কবে নির্বাচন করবেন। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১০ ডিসেম্বর।
প্রসঙ্গত, আদালতে হলফনামা দিয়ে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, আগামী বছর মে মাসের মধ্যে ৬ থেকে ৮ দফায় নির্বাচন চাইছে রাজ্য সরকার। কমিশনের বক্তব্য, এই মুহূর্তে তাদের কাছে আছে ১৫ হাজার ৬৮৭ ইভিএম। কলকাতার ভোটে ব্যবহার করা হবে ৭ হাজার ২১০টি ইভিএম। এদিকে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই ভোটের দফা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। এক্ষেত্রে সাধারণ ভোটারদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখেই আগামী মে মাসের মধ্যে এতগুলি দফায় ভোট করাতে চাইছে রাজ্য।