বোলপুর: শান্তিনিকেতনের জমি বিতর্ক নিয়ে রীতিমতো চর্চায় রয়েছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। তাঁকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই সম্মুখসমরে বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেস। অমর্ত্য সেনকে অপমান করা হচ্ছে এই অভিযোগ এনে বিজেপিকে এক হাত নিয়েছেন মমতা, নোবেল জয়ীকে চিঠি লিখেছেন সমর্থন করে। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীকে পাল্টা চিঠি দিয়ে ধন্যবাদ পর্যন্ত জানিয়েছেন অমর্ত্য সেন। এবার এই বিতর্কিত ব্যাপারে মুখ খুললেন খোঁজ বিশ্বভারতীর উপাচার্য অধ্যাপক বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তাঁর স্পষ্ট কথা, অমর্ত্য সেনকে হেনস্থা করার কোন ইচ্ছা বিশ্বভারতীর নেই।
এক জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যমের সাক্ষাৎকার দিয়ে বিশ্বভারতীর উপাচার্য অধ্যাপক বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বলেন, বিশ্বভারতী এবং অমর্ত্য সেনকে নিয়ে যা খবর ছড়ানো হচ্ছে তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তাঁর এবং বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের কোনো ইচ্ছাই নেই অমর্ত্য সেনের মতো কাউকে হেনস্থা করার কারণ তিনি শান্তিনিকেতনের গর্ব। যে খবর ছড়ানো হয়েছে তা একেবারেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং উত্তেজনা ছড়ানোর জন্য করা হয়েছে বলে জানান তিনি। উপাচার্যের কথায়, অমর্ত্য সেনের খ্যাতি জগৎ জুড়ে। তার মতো একজন ব্যক্তিকে হেনস্থা করার কোনও পরিকল্পনা কোনওদিন করেনি বিশ্বভারতী। এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বিতর্কিত জমি নিয়ে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট জমির মধ্যে ৭৭ একর জমি কব্জা হয়েছে। অডিটে কিছু অসঙ্গতি রয়েছে। সেই জমির মধ্যে কিছু কিছু লোকের জমি রয়েছে যা নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল এবং এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে এ ব্যাপারে।
বিগত কয়েক দিন ধরে রাজনৈতিক তরজা বেড়েছে এই বিষয়কে কেন্দ্র করে। যে ধরনের আলোচনা এবং বিতর্ক চলছে সেই ব্যাপারে বিদ্যুৎ বাবু, এই সমস্ত বিষয়ে তাদের কোনো ভূমিকা নেই কিন্তু সবচেয়ে দুঃখজনক ব্যাপার যে অমর্ত্য সেন নিজেই সংবাদমাধ্যমকে সব বলছেন, এদিকে তাঁর সঙ্গে তাঁর কোনো কথা হয়নি। প্রসঙ্গত, অমর্ত্য সেনের শান্তিনিকেতনের বাড়ি প্রতীচির জমি নিয়ে তিনি জানান, বিশ্বভারতী জমির ওই অংশ তাদের বলে দাবি করেছে। এর পরেই যাবতীয় বিতর্কের সূত্রপাত।