কলকাতা: দেশে ফিরে সিবিআইকে সবরকম সহযোগিতা করতে চান কয়লা এবং গরু পাচার কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত বিনয় মিশ্র। কিন্তু তার একটাই শর্ত, দেশে ফিরলে তাকে গ্রেফতার করা যাবে! আইনজীবী মারফত এমনই প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। এদিকে এই আবেদনের প্রেক্ষিতে অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল জানিয়েছেন, সিবিআই আধিকারিকরা তার এই প্রস্তাব ভেবে দেখবে।
গরু পাচারকাণ্ডে অভিযুক্ত বিনয় মিশ্র দীর্ঘ দিন ধরেই পলাতক৷ তাঁর হদিশ পেতে খোঁজ চালাচ্ছে সিবিআই৷ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দাদের অভিযোগ, এই যুব তৃণমূল নেতার হাত দিয়েই গরু ও কয়লা পাচারের টাকা পৌঁছে যেত প্রভাশালীদের হাতে৷ এই পাচারচক্রের মূল পাণ্ডা তিনি৷ সূত্রের খবর, কলকাতা থেকে পালানোর পর ২০২০-র ২২ ডিসেম্বর দুবাইয়ের ভারতীয় দূতাবাসে পাসপোর্ট জমা দেন বিনয় মিশ্র৷ দূতাবাস সূত্রেই জানা গিয়েছে, প্রশান্ত মহাসাগরের একটি দ্বীপরাষ্ট্রে লুকিয়ে রয়েছেন গরুপাচার কাণ্ডের এই পাণ্ডা৷
আরও পড়ুন- বাংলার ফলের কাটাছেঁড়া দরকার, ২৯ জুন বৈঠকে বসছে রাজ্য বিজেপি
এদিকে, কিছুদিন আগেই বিনয় মিশ্র আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। তাঁর অভিযোগ, ভিত্তিহীন তথ্য ছড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারী তাঁর সম্মানহানি করছেন। এই প্রেক্ষিতেই আইনজীবী মারফত বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন তিনি। বিনয় মিশ্র সম্পর্কে একটি টুইট করেন শুভেন্দু অধিকারী যার পরিপ্রেক্ষিতে এখন তাঁর আইনজীবী বিধানসভার বিরোধী দলনেতাকে আইনি নোটিস পাঠিয়েছিলেন। দাবি করা হয়েছিল, অসত্য এবং ভিত্তিহীন মন্তব্য করে বিনয় মিশ্রর সম্মানহানি করার চেষ্টা করছেন শুভেন্দু অধিকারী। এই প্রেক্ষিতে লালবাজারের সাইবার ক্রাইম বিভাগকে আইনি নোটিসের একটি কপি পাঠানো হয়েছিল, এর পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারীকে নির্দিষ্ট ওই টুইট মুছে দিতে বলা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত শুভেন্দু অধিকারী টুইট করে জানিয়েছিলেন, ২০১৮ সালে বিনয় মিশ্র ভানুয়াতুর নাগরিকত্ব নিয়ে ভারতের নাগরিকত্ব ছেড়ে দিয়েছেন। তাহলে পরবর্তী ক্ষেত্রে, ২০২০ সালে তৃণমূল কংগ্রেস কী ভাবে তাকে পদ দিয়েছিল। এই টুইটের বিরোধিতা করেই তাঁকে আইনি নোটিস পাঠিয়েছিলেন বিনয় মিশ্র।