জাহির হল ক্ষোভ, ফের সংঘাতে জড়ালেন রাজ্যপাল-অধ্যক্ষ

জাহির হল ক্ষোভ, ফের সংঘাতে জড়ালেন রাজ্যপাল-অধ্যক্ষ

কলকাতা: বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে সরকারের সংঘাত যে আছে তা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু সরকারের পাশাপাশি বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও যে তাঁর সংঘাত সময় সময়ে আরও বাড়ছে সেটাও লক্ষ্য করা হচ্ছে। এর আগে একাধিকবার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে সরকারের সমালোচনা করে অধ্যক্ষের ক্ষোভের মুখে পড়েছেন রাজ্যপাল। বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও দাবি করেছেন যে, রাজ্যপাল সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করছেন না। এবার হাওড়া পুরসভা সংশোধনী বিল নিয়ে আরও একবার বিতর্কে জড়ালেন দু’জন।

আরও পড়ুন- সাইকেল নিয়ে বামেদের একহাত ফিরহাদের, শোনালেন বর্তমান উন্নয়নের কথা

হাওড়া পুরসভা সংশোধনী বিল আটকে রাখা নিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে নিশানা করেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, সুপ্রিম কোর্টের রায় মানছেন না রাজ্যপাল, কিন্তু তাঁর সেটা মানা উচিত। বিমানের অভিযোগ, রাজ্যপালের কাছে বিল পাঠানো হলেও তিনি সেই ব্যাপারে বিধানসভাকে কিছুই জানাননি। জিজ্ঞেস করা হলে বলেন বিল নেই। কিন্তু বহুদিন ধরেই এই বিল আটকে রয়েছে, যার কারণে নাগরিক পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে। এর একটা বিহিত চাই।

এর আগে অবশ্য বিধানসভার অধ্যক্ষের কাজ নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন খোদ রাজ্যপাল। সুতরাং পরস্পরের মধ্যে তিক্ততা বেড়েছে বৈ কমেনি। এখন আবার হাওড়া পুরসভার সংশোধনী বিল সই না করে সেখানকার পুর নির্বাচন আটকে রাখার অভিযোগ উঠে এল রাজ্যপালের বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য, বালিকে হাওড়া থেকে আলাদা করে দেওয়া হয়েছে। গত বছর বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে পাশ হয়েছে ‘দ্য হাওড়া মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (সংশোধনী) বিল, ২০২১’। তাই হাওড়া পুরসভার ওয়ার্ডের সংখ্যা ৬৬ থেকে কমে ফের ৫০-এ দাঁড়িয়েছে। এখন হাওড়া ও বালি দু’টি পৃথক পুরসভা, দুই জায়গাতেই ভোট বাকি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × four =

ভোট হচ্ছে না, দায়ী রাজ্যপাল! অভিযোগ বিমানের

ভোট হচ্ছে না, দায়ী রাজ্যপাল! অভিযোগ বিমানের

কলকাতা: রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় হাওড়া পুরসভার নির্বাচন পিছিয়ে যাওয়ার জন্যে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের ভূমিকাকে দায়ী করেছেন। হাওড়ার পুরভোট সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে আজ তিনি বলেন, হাওড়া পুরসভার পুনর্গঠন সংক্রান্ত বিল রাজ্যপালের স্বাক্ষরের জন্য আটকে থাকার কারণেই সেখানে ভোট করানো সম্ভব হয়নি। কেন রাজ্যপাল ওই বিল আটকে রেখেছেন তা তাঁর অজানা বলে বিমানবাবু দাবি করেছেন। রাষ্ট্রপতি একদিনে বির্তকিত তিন কৃষি বিলে সই করতে পারলেও রাজ্যপাল কেন এত দিনে হাওড়া পুরসভার সংক্রান্ত বিল স্বাক্ষর করতে পারলেন না তা নিয়েও অধ্যক্ষ প্রশ্ন তুলেছেন। সংশোধনী বিল সংক্রান্ত যাবতীয় যে  তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছিলেন তা ওই দিনই রাজ্যপালের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

এদিকে, আজ আদালতে হলফনামা দিয়ে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, আগামী বছর মে মাসের মধ্যে ৬ থেকে ৮ দফায় নির্বাচন চাইছে রাজ্য সরকার। কমিশনের বক্তব্য, এই মুহূর্তে তাদের কাছে আছে ১৫ হাজার ৬৮৭ ইভিএম। কলকাতার ভোটে ব্যবহার করা হবে ৭ হাজার ২১০টি ইভিএম। এদিকে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই ভোটের দফা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। এক্ষেত্রে সাধারণ ভোটারদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখেই আগামী মে মাসের মধ্যে এতগুলি দফায় ভোট করাতে চাইছে রাজ্য। এদিকে এই নির্বাচন যে রাজ্য পুলিশ দিয়ে হবে তার ইঙ্গিত আগে থেকেই মিলেছে। নির্বাচন কমিশনের ভাবনায় যে কেন্দ্রীয় বাহিনী নেই তারা তারা আগেই প্রকাশ করে দিয়েছিল। এখন এই নিয়ে অন্য বিতর্ক সৃষ্টি হবে বলে ধারণা।

 চলতি মাসের ১৯ তারিখ কলকাতার পুরভোট অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। কিন্তু এই নির্বাচন নিয়ে প্রথম থেকেই বিরোধিতা করে এসেছে বিজেপি এবং দাবি করেছে যাতে সব জায়গার নির্বাচন একসঙ্গে হয়। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত কেন নেওয়া সম্ভব হয়নি তা এর আগেই আদালতে জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তবে আগামী বছর কোন মাসের মধ্যে কত দফায় ভোট চাইছে রাজ্য সেই ব্যাপারে আদালতে আজ হলফনামা দিয়েছে তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 × five =